অ্যালিস ক্যাপসের দুরন্ত পারফর্ম্যান্সেই ডব্লুপিএলের ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালস

Alice Capsey
Alice Capsey. ( Photo Source: WPL/ Twitter )

অ্যালিস ক্যাপসের অল রাউন্ড পারফর্ম্যান্সে ভর করে লীগ শীর্ষে থেকে প্রথম দল হিসাবে ডব্লুপিএল পৌঁছে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। ইউপি ওয়ারিয়র্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস দুই দলই প্লেঅফের ছাড়পত্র যোগার করে ফেলেছে। আদতে নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে এই ম্যাচের গুরুত্ব খানিকটা অন্যরকম ছিল। ডব্লুপিএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা দল সরাসরি ফাইনালের ছাড়পত্র যোগার করে ফেলবে। ইউপি ওয়ারিয়র্সকে হারাতে পারলেি সেই ছাড়পত্র যোগার করার সুযোগ ছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে। অ্যালিস ক্যাপসের হাত ধরে সেই কাজটাই করে দেখাল দিল্লি ক্যাপিটালস।

ইউপি ওয়ারিয়র্সকে উড়িয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে ফাইনালের ছাড়পত্র যোগার করে ফেলল দিল্লি ক্যাপিটালসষ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ইউপি ওয়ারিয়র্সকে ৫ উইকেটে হারাল দিল্লি ক্যাপিটালস। বোলিং এবং ব্যাটিংয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের সাফল্যের কারিগড় এদিন অ্যালিস ক্যাপসে। বল হাতে যেমন তিনটি উইকেট পেয়েছেন তিনি। তেমনই ব্যাট হাতেও ইউপি ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার।

বেলিং এবং ব্যাটিংয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ম্যাচের সেরা অ্যালিস ক্যাপসে

টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। অ্যালিসা হিলির হাত ধরে শুরুটা খানিকটা ভাল করার চেষ্টা করলেও, দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলিং আক্রমণের সামনমে সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি ইউপি ওয়ারিয়র্সের ব্যাটাররা। ইউপি শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা এদিন দিয়েছিল রাধা যাদব। ওপেনিং অর্ডার ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। বাকি সময়টা ব্রেবোর্ণ স্টেডিয়ামের বাইশগজে বল হাতে দাপট দেখিয়েচিলেন অ্যালিস ক্যাপসে।

ইউপি ওয়ারিয়র্সের সেরা তিন ক্রিকেটারকে এদিন সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অ্যালিসা হিলি এগিন তাঁর প্রথম শিকার। ৩৪ রানে তাঁকে থামিয়ে দেন ক্যাপসে। এরপর দীপ্তি শর্মা এবং সোফি একলেস্টোনকে প্যাভিলিয়নে ফেরানোর কাজটা নিখুঁতভাবে করেছিলেন তিনি।  দীপ্তি করেন ৩ রান এবং একলেস্টোন ফেরেন ০ রানে। টাহলিয়া ম্যাকগ্রা এদিন অর্ধশতরান না পেলে ইউপি ওয়ারিয়র্স ১০০ রানও হয়ত টপকতে পারত না। শেষপর্যন্ত ১৩৮ রানেই থামে ইউপি ওয়ারিয়র্স।

দিল্লি ক্যাপিটালসকে এই রান করার জন্য খুব একটা বেশী কাজ করতে হয়নি। শুরুটা মেগ ল্যানিং এবং শেফালী বর্মা করে দিয়ে এসেছিলেন। ২৩ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন মেগ ল্যানিং। বাকিটা সামাল দিয়ে দেন অ্যালিস ক্যাপসে। ৩১ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে তিনি যখন সাজঘরে ফেরেন সেই সময় দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়টা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালের ছাড়পত্র যোগার করে ফেলল দিল্লি ক্যাপিটালস।