শুভমন গিলের সেঞ্চুরী ইনিংস ও হার্দিকের চার উইকেট, কিউইদের রেকর্ড রানে হারিয়ে সিরিজ ভারতের

India Win
India Win. ( Image Source: bcci )

ঘরের মাঠে সিরিজ জিততে হলে শেষ ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে হারাতেই হত। শুভমন গিলের বিধ্বংসী সেঞ্চুরী সেই রাস্তাটা তৈরি করেই দিয়েছিল। এরপর বল হাতে হার্দিক, অর্শদীপদের দুরন্ত বোলিং এবং সূর্যকুমার যাদবের সেরা তিনটি ক্যাচ। নিউ জিল্যান্ডকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে সিরিজ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডও এদিন গড়ল টিম ইন্ডিয়া। ভারতের রানের পাহাড়ের সামনে এদিন মুখ থুবড়েই পড়ল নিউ জিল্যান্ড। একশো রানের গন্ডীও টপকাতে পারল না কিউই বাহিনী। ৬৬ রানে নিউ জিল্যান্ডকে থামিয়ে ১৬৮ রানে ম্যাচ জয়ী ভারত।

দ্বিতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে  জয় পেলেও বারতীয় দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। সেইসঙ্গে শুভমন গিলের টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে খেলা নিয়েও একটা প্রশ্ন উঠেছিল। সেই জবাবটাই এদিন দিলেন শুভমন গিল। দেশের হয়ে টি টোয়েন্টিকে প্রথম সেঞ্চুরী যেমন করলেন, তেমনই ভারতকে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে অন্যতম সেরা রানেও পৌঁছে দিলেন। একইসঙ্গে এদিন ভারতীয় বোলারদেরও দাপুটে পারফর্ম্যান্স দেখা গেল। বল হাতে হার্দিক একাই তুলে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ১৬৮ রানে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে নয়া রেকর্ড গড়ল ভারতীয় দল।

১২৬ রানে অপরাজিত সেঞ্চুরী ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা শুভমন গিল

টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এদিন দলে একটাি বদল এনেছিলেন তিনি। যুজবেন্দ্র চাহালের পরিবর্তে ভারতীয় দলে এসেছিলেন উমরান মালিক। ব্যাট হাতে এদিন সুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন শুভমন গিল। শুরুতে ঈশান কিষাণ ফিরে গেলেও, শুভমনের দাপটের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছিলেন নিউ জিল্যান্ড বোলাররা। শুরু থেকেই তাঁর ব্যাটে ছিল চার ও ছয়ের বন্যা। মাত্র ৫৪ বলে সেঞ্চুরী ইনিংস খেলেম শুভমন গিল। আর তাতেই ভারতেরও বড় রান হওয়ার রাস্তাটাও প্রশস্ত হয়ে গিয়েছিল।

এদিন সুভমন গিলের গোটা ইনিংস জুড়ে ছিল ১২টি বাউন্ডারি ও ৭টি ওভার বাউন্ডারি। শেষপর্যন্ত ৬৩ বলে ১২৬ রানের ইনিংস খেলে এদিন অপরাজিতই ছিলেন শুভমন গিল। ভারত থামে ২৩৪ রানে। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই যে ভারতীয় দল চাপ ফেলে দিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরপর বল হাতেও ভারতীয় বোলাররা ছিলেন বিধ্বংসী মেঝাজে। হার্দিকর পান্ডিয়ার  বলে দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে শুরুতেই ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে দেন সূর্যকুমার যাদব। এর পরের ওভারেই জোড়া উইকেট অর্শদীপ সিংয়ের। তখনও ক্রিজে ছিলেন গ্নেন ফিলিপস।

সেই চাপও কমিয়ে দেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াই। ফের তাঁর বলে সূর্যকুমারের দুর্ধর্ষ ক্যাচ। নিউ জিল্যান্ডের হার যেন তখন সময়ের অপেক্ষা। পাওয়ার প্লে-তেই ২১ রানের মধ্যে  ৫ উইকেট হারিয়ে কিউই বাহিনী যে সেই সময় বিধ্বস্ত ছিল তা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। এদিন হার্দিককে হতাশ করেননি উমরান মালিকও। ৯ রান দিয়ে তিনিও তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে বল হার্দিক পান্ডিয়া দুরন্ত ফর্মে থিলেন। শুরুটা যেমন তিনি করেছিলেন, শেষটাও একেবারে নিখুঁতভাবেই করলেন তিনি। লোকি ফার্গুসন এবং ব্লেন টিকনারকেও সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেন েই তারকা ক্রিকেটার।

ব্যাট হাতে ১৭ বলে ৩০ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১৬ রান দিয়ে একাই ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। আর তাতেই ৬৬ রানে শেষ নিউ জিল্যান্ড। আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টিতে এটাই নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।