“মনে হল জিতেই গেছি”, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফাঁস করলেন নাইটদের বিরুদ্ধে কোন ভুল করেছিলেন
পন্টিংয়ের স্বীকারোক্তি পর্যুদস্ত হয়ে হেরেছেন
আপডেট করা - Oct 15, 2021 8:07 pm
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভার করার সময় দিল্লী ক্যাপিটালসের অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মাথায় কী চলছিল জানালেন তিনি। এক বল বাকি থাকতে তিন উইকেটে ম্যাচটি হেরে টূর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় দিল্লী।
ওপেনিং পার্টনারশিপে ৯৬ রান উঠে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল কেকেআরের জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সেখান থেকে নাইটদের ইনিংসে ধ্বস নামতে শুরু করে। একটা সময় ১২৩/১ থেকে ১৩০/৭ হয়ে যায়। ২৫ বলে ১৩ রান দরকারের সুবিধাজনক অবস্থান থেকে ২ বলে ৬ রান করার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়।
২ বলে যখন ৬ রান দরকার তখন স্ট্রাইকে ছিলেন রাহুল ত্রিপাঠী। ওই ওভারে চার বল করে দুটি উইকেট তুলে নেওয়া অশ্বিন সেই সময় রক্তের স্বাদ পেয়ে গেছেন। কিন্তু ওভারের পঞ্চম বলটি অভিজ্ঞ অফ স্পিনার করে ফেললেন শর্ট ও ওয়াইড। খারাপ বোলিংয়ের সুযোগ নিতে ত্রিপাঠী ব্যর্থ হননি। লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে নাইটদের জয় এনে দেন।
প্রথম চারটে বল নিয়ে বিশেষ কিছু ভাবেননি
ওই ওভারে প্রসঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেছেন, “প্রথম চারটে বল আমি বিশেষ কিছু না ভেবেই করেছিলাম এবং সফলও হয়েছিলাম। পঞ্চম বলটার আগে মনে হল জিতেই গেছি। তখনই মনে পড়ল একদিকের বাউন্ডারি ছোট, শিশিরও ভালোই রয়েছে। এটাও মনে হল ত্রিপাঠী নিশ্চয় এগিয়ে খেলবে, তাই শর্ট বল করি। ত্রিপাঠী এর আগে আমায় চারও মারেনি। কিন্তু ওইদিন দুর্ভাগ্যজনকভাবে ছয় মেরে বসল।”
লিগ পর্যায়ে দিল্লী ক্যাপিটালস স্বপ্নের ফর্মে খেলছিল। ১৪টির মধ্যে ১০টি ম্যাচেই জয় লাভ করে। কিন্তু লিগের শেষ ম্যাচ থেকে তাদের হারা শুরু হয়। তারপর প্লে-অফে উঠে পরপর দুটি ম্যাচ হেরে এখন টুর্নামেন্টেরই বাইরে। ফাইনালে ওঠার দুটো সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ ঋষভের দল।
দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার হারার পর কোচ রিকি পন্টিং স্বীকার করে নিয়েছেন টুর্নামেন্টে এই প্রথম কোন ম্যাচে তাঁরা বিপক্ষের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলন, “আমার মনে হয় আজকের ম্যাচেই আমরা এই টুর্নামেন্টে প্রথম বার সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত হয়ে হেরেছি। আমরা যথাযথভাবে ব্যাটিং করিনি, পাওয়ারপ্লেতে যথেষ্ট রান করিনি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছি। হেটমায়ার ও শ্রেয়স না থাকলে আমরা ১৩০ অবধি পৌঁছতে পারতাম না। এই হার নিয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে। এতো দূর এসে এভাবে হেরে যাওয়াটা হতাশাজনক।”