জশ হ্যাজলউড আইপিএলের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ায় উপকৃত হয়েছে দল, অকপটে মেনে নিলেন অধিনায়ক ফিঞ্চ

ফাইনালে মাত্র ১৬ রানের বিনিময়ে হ্যাজলউডের ৩ উইকেট

Josh Hazlewood
Josh Hazlewood. (Photo by AAMIR QURESHI/AFP via Getty Images)

অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ মনে করেন যে আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে জশ হ্যাজলউড খেলার ফলে তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে অজি বোলারদের অনেক ক্ষেত্রেই সাহায্য করেছেন। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডে মিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্সের মতো পেসার থাকা সত্ত্বেও সবাইকে ছাপিয়ে গিয়ে নজর কেড়েছেন জশ হ্যাজলউড। ডানহাতি স্পিডস্টার সাতটি ম্যাচে ৭.২৯-এর চমৎকার ইকোনমি রেটে ১১টি উইকেট নিয়েছেন। 

ফাইনালে আরও চমকপ্রদ তাঁর পারফর্ম্যান্স। হাই-স্কোরিং ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ তান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে ৮৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলা কেন উইলিয়ামসনের উইকেট।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত আইপিএলের দ্বিতীয় পর্যায়ে হ্যাজেলউড সিএসকের হয়ে খেলেছিলেন এবং টি-২০র বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের খেলার কন্ডিশনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এমএস ধোনির সুপার কিংসের হয়ে হ্যাজেলউড ৯টি ম্যাচে ১১টি উইকেট নিয়েছেন। ফিঞ্চের মনে হয়েছে হ্যাজলউড ব্যাক-অফ-এ-লেংথে নাগাড়ে বল করে যাচ্ছিলেন বলে ব্যাটারদের পক্ষে তাঁকে আক্রমণ করা কঠিন হচ্ছিল। 

রবিবার ফাইনালের পর ম্যাচ-পরবর্তী প্রেস কনফারেন্সে ফিঞ্চ স্বীকার করে নিয়েছেন যে আইপিএলে শক্তিশালী প্রদর্শন করার ফলেই কেন রিচার্ডসনকে টপকে হ্যাজলউড প্রথম একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন। 

জশ হ্যাজলউড গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করায় ফিঞ্চ তাঁর প্রশংসা করেছেন 

“সে (হ্যাজলউড) আমাদের বোলিং গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। সিএসকেতে তার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। টুর্নামেন্টের শেষের দিকে যেখানে উইকেট একটু বেশি জীর্ণ হতে শুরু করে সেখানে জশের বিশেষত্ব হার্ড লেন্থ বোলিং ব্যাটারদের জন্য কাজটা কঠিন করে দেয়। জশের শেয়ার করা এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি আমাদের সাহায্য করেছে,” স্পোর্টসকীড়ার রিপোর্ট অনুসারে ফিঞ্চ বলেছেন।

“সত্যি বলতে, আইপিএলে তার পারফরম্যান্সই কেন রিচার্ডসনের জায়গায় তাকে প্রথম একাদশে প্রবেশ করিয়েছে। সে একজন দুর্দান্ত টি-টোয়েন্টি বোলার এবং এমন একজন যিনি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে হ্যাঁ, দুজনের মধ্যে একজনকে বাছা কঠিন ছিল,” তিনি বলেছেন।

বিশ্বকাপের আগে একেবারেই ছন্দে ছিল না অজিরা। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১-৪ ব্যবধানে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হেরেছিল তারা। ফিঞ্চ মনে করেন অল্প সময়ের জন্য বায়ো বাবল থেকে দূরে থাকা বিশ্বকাপের জন্য ভালভাবে প্রস্তুত হতে অজিদের সাহায্য করেছে। 

“টুর্নামেন্টের জন্য ছেলেরা ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রস্তুত হয়েছে। কেউ কেউ আইপিএলে ছিল, কেউ কেউ রাজ্য দলের হয়ে খেলছিল; কেউ কেউ চোট সারিয়ে ফিরছিল। আমি মনে করি এটিও একটি ভূমিকা পালন করেছে,” ফিঞ্চ যোগ করেছেন।