“বিশ্বকাপে ভারতকে হারানো ২০২১-এর সেরা মুহূর্ত”- বাবর আজম

যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হার এখনও মেনে নিতে পারেন না তিনি

Babar Azam
Babar Azam. (Photo by INDRANIL MUKHERJEE/AFP via Getty Images)

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়কে ‘অসাধারণ মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন বাবর আজম। এর আগে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কখনোই জিততে পারেনি পাকিস্তান। বিশ্ব মঞ্চে ১২টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েও এই টি-২০ বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান একবারও জিততে পারেনি। তবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার ১২ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তান ভারত ১০ উইকেটে দুরমুশ করে হারায়। 

এর আগে ওডিআই বিশ্বকাপে সাতবার এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঁচবার ভারতের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। যদিও ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীনে এক ভিন্ন পাকিস্তানকে দেখা যায়। শুধু ভারতকে হারানোয় নয়, সুপার ১২ পর্বে তারা পাঁচটি ম্যাচটি জিতে সেমি-ফাইনালে উঠেছিল। 

“দল হিসাবে আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত প্রাপ্তি ছিল কারণ আমরা এত বছর ধরে বিশ্বকাপে ভারতকে হারাতে পারিনি। আমাদের কাছে সেটি ছিল বছরের সেরা মুহূর্ত,” দ্য হিন্দুতে বাবরকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। 

“সবচেয়ে বড় তৃপ্তি হল তরুণ প্রতিভাকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের হয়ে খেলতে দেখে। এটা ভালো যে আমরা এখন তরুণ প্রতিভা তৈরী করছি,” তিনি উল্লেখ করেন। 

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে হার আমাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে: বাবর আজম

যদিও পাকিস্তানের অনবদ্য ফর্ম সুপার ১২ পর্বে অনেক দলের কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল, তবে তাদের যাত্রার একটি হৃদয়বিদারক সমাপ্তি হয়েছিল সেমিফাইনাল পর্বেই যখন অস্ট্রেলিয়া তাদের ছিটকে দেয়। গ্রুপ পর্বে দল যেভাবে পারফর্ম করেছিল তা বিবেচনা করে সেমিফাইনালের সেই হার হজম করতে এখনও কষ্ট হয় তাঁর। 

“এই পরাজয় আমাকে সবচেয়ে বেশি আঘাত দিয়েছে এই বছর কারণ আমরা খুব ভাল এবং একটি সম্মিলিত ইউনিট হিসাবে খেলেছিলাম,” তিনি বলেছেন। 

২০২১ সালটি পাকিস্তান অধিনায়কের জন্য ব্যক্তিগতভাবেও একটি ফলপ্রসূ বছর ছিল। টি-টোয়েন্টিতে ২৬ ইনিংসে ৩৭.৫৭-এর একটি ভদ্রস্থ গড় এবং ১২৭.৫৮-এর স্ট্রাইক রেটে ৯৩৯ রান করেছিলেন, যার মধ্যে নয়টি অর্ধশতক এবং একটি সেঞ্চুরি রয়েছে। 

বাবরের ওপেনিং সঙ্গী মহম্মদ রিজওয়ানও এই বছর সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন। ২০২১-এ তিনি বাবরের সমসংখ্যক ইনিংসে ১৩২৬ রান করেছিলেন ৭৩.৬৬-এর অভাবনীয় গড়ে। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৪.৮৯ এবং ১২টি হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও করেছিলেন। 

তাঁর ফর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, বাবর বলেছিলেন যে যখনই বাকিরা পাকিস্তানকে ম্যাচ জিততে অবদান রাখেন তখন তিনি তা উপভোগ করেন।