সেঞ্চুরী পেয়ে উচ্ছ্বসিত মনোজ তিওয়ারি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায় প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক

Manoj Tiwary
Manoj Tiwary. (Photo Source: Twitter)

প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৭ রানের জন্য সেঞ্চুরীটা হাতছাড়া হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে আর কোনও ভুল হয়নি তাঁর। টপ অর্ডারের ব্যর্থ হলেও, এদিন ব্যর্থ হননি মনোজ তিওয়ারি। শেষ দিন বেঙ্গালুরুতে ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। দীর্ঘদিন পর ফের মনোজ তিওয়ারির ব্যাটে এল শতরান। ঝাড় খন্ডের সঙ্গে ড্র করে প্রথম ইনিংসে লিডের সৌজন্যে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনানে নিজদের জায়গা পাকা করে ফেলল বাংলা। এবার সামনে মধ্যপ্রদেশ।

চতুর্থ দিন ২৯৮ রানে ঝাড়খন্ডকে অল আউট করে দেওয়ার পরই কার্যত সেমিফাইনালে নিজেদের রাস্তাটা পাকা করে ফেলেছিল বাংলা। অপেক্ষা ছিল শুধু পঞ্চম দিনটা শেষ হওয়ার। সেইসঙ্গে মনোজ তিওয়ারি ফের বড় রানে ফিরতে পারেন কিনা সেদিকেই তাকিয়ে ছিল সকলে। চতুর্থ দিন তাড়াতাড়ি দুই খুইয়েছিল বাংলা। সেদিনই মাঠে নামেন মনোজ তিওয়ারি। প্রথম ইনিংসে না পারলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান করার লক্ষ্যই ছিল তাঁর। সেটাই করতে পারলেন মনোজ তিওয়ারি।

পঞ্চম দিন বেঙ্গালুরুতে বাংলার হয়ে একাই মনোজ তিওয়ারি শাসন চালালেন বাইশগজে। অনুস্টুপ, সুদীপ কুমার ঘরামীরা  এদিন ব্যাট হাতে বড় রান করতে পারেননি। যদিও তাতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। সেমিফা্ইনালের আগেই মনোজ তিওয়ারির ব্যাট থেকে এল বহু কাঙ্খিত সেই সেঞ্চুরী। ১৩৬ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেললেন তিনি। এবার শুধুই দুটো ধাপ পেরোনোর অপেক্ষা বাংলার।

রঞ্জি ট্রফি সেমিাইনালে বাংলার মুখোমুখি মধ্যপ্রদেশ

তিনবার ফাইনালে পৌঁছলেও বাংলার হয়ে এখনও পর্যন্ত রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি মনোজ তিওয়ারি। সেই আক্ষেপটাই এবার মেটাতে চান তিনি। সেইসঙ্গে এমন মঞ্চে দলের প্রয়োজন রান করতে পেরেও যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক। মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে সেঞ্চুরী পেয়েছেন মনোজ তিওয়ারি।

তিনি জানিয়েছেন, বাংলার হয়ে তিনবার ফাইনালে পৌঁছেছি আমি। কিন্তু রানার্স আপ হয়েই থামতে হয়েছে। এখনও আমার মধ্যে সেই খিদেটা রয়েছে। নিজেকে আরও ভালভাবে প্রস্তুত করেছি। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে চাই।  দল যখন সেমিফাইনালে পৌঁছয় সেটা সবসময়ই আনন্দ দেয়। সেই আনন্দ আরও বেড়ে যায় যখন সেই সাফল্যে নিজের অবদান থাকে। আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছনোর প্রথম হার্ডলটা  পেরিয়ে গিয়েছি। বাংলার হয়ে জিতে সবসময়ই গর্বিত অনুভব করি।

পঞ্চুমং দিন শুরু থেকেই মনোজ তিওয়ারির হাত ধরে বড় রানের পথে এগোতে শুরু করে বাংলা। এই ইনিংস অবশ্য প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক ছাড়া কেউই ব্যাট হাতে তেমন সাফল্য নয়। তবে মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে গিয়েছেন এদিন শাহবাজ। মাত্র চার রানের জন্যই অর্ধশতরানটা অবশ্য হাতছাড়া হয়েছিল শাহবাজের। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১৮ রানেই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলা। ম্যাচ শেষ হতেই সেমিফাইনালে পৌঁছনোপ উচ্ছ্বাস বঙ্গ শিবিরে।

আগামী ১৪ জুন সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে নামবে বঙ্গ ব্রিগেডে। এমন পারফরম্যান্সের ধারা সেখানেও অব্যহত থাকে কিনা সেটাই এখন দেখার।