ইউপি ওয়ারিয়র্সকে উড়িয়ে ডব্লুপিএলের ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

Mumbai Indians
Mumbai Indians. ( Photo Source: Twitter/WPL )

ন্যাট সাইভার ব্রান্টের দুর্ধর্ষ ব্যাটিং এবং ইসি ওংয়ের দাপুটে বোলিংয়েই ডব্লুপিএলের ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এলিমিনেটরের মঞ্চে ইউপি ওয়ারিয়র্সকে  খরকুটোর মতো উড়িয়ে দিয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে ফাইনালের মঞ্চে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম ডব্লুপিএলের ট্রফি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাদের হাতে তুলতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার। এদিন ইউপি ওয়ারিয়য়র্সকে ৭২ রানে হারাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মহিলা বাহিনী। ফাইনালে শেষ হাসি কাদের মুখে ফোটে তাত তো সময়ই বলবে।

লিগ পর্বে  শীর্ষস্থানে পৌঁছেও সরাসরি ফাইনালে যাওয়ার টিকিট কাটতে পারেনি মুম্বই ইন্ডি্য়ান্স। হিসাবের নীরিখে মুম্বই ইন্ডিয়াসকে পিছনে ফেলে ফাইনালের চাড়পত্র ।োগার করে ফেলেছিল দিল্লি ক্যাপিটাল। ফাইনালের লক্ষ্যে পৌঁছতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে ছিল ইউপি ওয়ারিয়র্সের বাধা। শুক্রবার সেই ম্যাচেি নেমেছিলেন হরমনপ্রীত কৌররা। যদিও ফাইনালে যেতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি তাদের। এদিন ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে ইউপি ওয়ারিয়র্সকে কার্যত মাথা তুলে দাঁড়াতেই দেয়নি হরমনপ্রীত কৌরের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স  বাহিনী।

৭২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হয়েছেন ন্যাট সাইভার ব্রান্ট

টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইউপি ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। লক্ষ্যটা ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে কম রানের মধ্যে শেষ করে দেওয়া। পাওয়ার প্লের মধ্যে এক উইকেট তুলেও নিয়েছিলেন ইউপি ওয়ারয়র্সের বোলাররা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের যে হ্যালি ম্যাথুজ এবার বিধ্বংসী পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন,তাঁকে্ ২৬ রানের মধ্যেই শেষ করে দিয়েছিল ইউপি ওয়ারিয়র্সের বোলাররা। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি তারা। সেই জায়গা থেকেই মাঠে রানের ঝড় তোলেন ন্যাট সাইভার ব্রান্ট। আর তাতেই যে ম্যাচের ভবিষ্যত্ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ব্যাট হাতে মঠে নামা থেকেই রানের ঝড় তুলেছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার। ইউপি ওয়ারিয়র্সের বোলারদের কার্যত মাথে তুলে দাঁড়াচেই দেননি তিনি। ৩৮ বলে ৭২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ন্যাট সাইভার ব্রান্ট। আর তাতেই কার্যত ইউপি ওয়ারিয়র্সের সমস্ত আসা শেষ হয়ে গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ম্যাট সাইভার ব্রান্ট। তাঁর গোটা ইনিংসটি সাজানো রয়েছে ৯টি বাউন্ডারি এবং দুটো এওভার বাউন্ডারি দিয়ে। আর তাতেই  মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত হয়ে গিয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স থামে ১৮২ রানে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইউপি ওয়ারিয়র্সের ব্যাটাররাও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলারই চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শুরু থেকেই ইসি ওংয়ের দাপট। অ্যালিসা হিলি, কিরণ নভগিরেদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ইসি এ একাই তুলে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে সাইকা ঈশাকের ঝুলিতে ২ উইকেট। ফাইনালের রাস্তা পাকা করে ফেলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।