দুর্ধর্ষ বোলিং এবং স্মৃতি মন্ধনার ঝোরো ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে হারিয়েই কমনওয়েলথে প্রথম জয় ভারতের

Smriti Mandhana
Smriti Mandhana. (Photo by Alex Davidson/Getty Images)

বোলাররা রাস্তাটা আগেই তৈরি করে দিয়ে এসেছিলেন। সেখানেই ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন স্মৃতি মন্ধনা। চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে কমনওয়েলথ গেমে প্রথম জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। বোলারদের দাপটে এদিন ভারতের বিরুদ্ধে একশো রানও করতে পারেনি পাকিস্তান। মাত্র ৯৯ রানে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দল। সেখানেই মাত্র ১২ ওভারেই দুরন্ত জয় তুলে নেয় ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। সেইসঙ্গে নক আউট পর্বে যাওয়ার রাস্তাটাও খানিকটা প্রশস্ত করে ফেললেন হরমনপ্রীত কৌররা।

কমনওয়েলথ গেমসের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ভারতীয় মহিলা দল। এগিয়ে থেকেও সেই ম্যাচে শেষরক্ষা হয়নি তাদের। শেষ মুহূর্তে অ্যাশলে গার্ডনারের দুর্ধর্ষ ইনিংসটাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের আশাটা শেষ করে দিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনওরকম ভুল এদিন করেনি ভারত। রবিবাসরীয় দুপুরের মেগা দ্বৈরথে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের কার্যত খরকুটোর মতো উড়িয়ে দিয়ে বিরাট জয় হাসিল করে নিল ভারত। স্মৃতির ৬৩ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে পাকিস্তানকে হরাল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।

রান তাড়া করার সময় টি টোয়েন্টিতে প্রথম ভারতীয় হিসাবে ১০০০+ রান করলেন স্মৃতি মন্ধনা

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হার। ঘিরে দাঁড়াতে হলে পাকিস্তানকে হারাতেই হত তাদের। এজবাস্টনে সেই কাজটা ভারতীয় দলের জন্য সবচেয়ে সহজ করে দিয়েছিলেন বোলাররা। স্নেহ রানা এবং রাধা যাদবের জোড়া উইকেটেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের ভিতটা অনেকটা মজবুত হয়ে গিয়েছিল। বাকি কাজটা ব্যাট হাতে স্মৃতি মন্ধনা করে দেন। হরমনপ্রীত কৌরের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে কমনওয়েলথ গেমসে অর্ধশতরান পেলেন তিনি।

পরিসংখ্যানের বিচারে বরাবরই পাকিস্তানের থেকে টি টোয়েন্টিতে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় দল। ১১ বারের সাক্ষাতে এখনও পর্যন্ত ৯টি ম্যাচেই জয় পেয়েছিল ভারত। এবার সেই সংখ্যাটাই দশ করে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান অধিনায়ক বিসমা মারুফ। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দাপট ছিল দেখার মতো। ওপেনিংয়ে মুনিবা আলির ৩২ রান বাদে কোনও পাকিস্তানের ক্রিকেটারই এদিন বড় রান করতে পারেননি।

পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশী রানের পার্টনারশির এদিন ৫০ রানের। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। রাধা যাদব, স্নেহ রানারাএদিন দুটো করে উইকেট তুলে নেন। রেনুকা সিং, মেঘনা সিংয়েরা একটিই করেই উইকেট পান এদিন। ৯৯ রানেই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল ১০০ রানের।

ব্যাচ হাতে শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন শেফালি বর্মা ও স্মৃতি মন্ধনা। ৯ বলে ১৬ রান করেন শেফালি বর্মা। ভারতের প্রথম উইকেট পড়ে ৬১ রানে। পাকিস্তানের বোলারদের সাফল্য বলতে এদিন ছিল এটুকুই। সেই থেকে বাইশ গজে ছিল শুধুই স্মৃতি মন্ধনার দাপট। ৪২ বলে ৬৩ রানের ঝোরো ইনিংস খেলে একাই পাকিস্তানের বোলারদের বিধ্বস্ত করে দেন তিনি।  মাত্র ১২ ওভারেই পাকিস্তান বধ সম্পন্ন ভারতের। স্মৃতির গোটা ইনিংসা সাজানো রয়েছে এদিন ৭টি বাউন্ডারি এবং ৩টে ওভার বাউন্ডারি দিয়ে।