শার্দূলের ৪ উইকেট এবং কুলদীপ-অক্ষর জুটির স্পিনের জাদুতে প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস

Shardul Thakur and Kuldeep Yadav
Shardul Thakur and Kuldeep Yadav. (Photo Source: IPL/BCCI)

শার্দূল, কুলদীপ ও অক্ষর, তিন অস্ত্রেই পঞ্জাব কিংসের আশা কার্যত শেষ করে আইপিএলের প্লে অফের লক্ষ্যে দৌঁড়ে থাকল দিল্লি ক্যাপিটালস। ডি ওয়াই পটেল স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের দুর্ধর্ষ বোলিং আক্রমণের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল পঞ্জাব কিংসের তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ১৫৯ রান হাতে নিয়েই ম্যাচ জিতে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস।  বড় ব্যবধানে পঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে নিজেদের নেট রানরেটও বজায় রাখল  দিল্লি ক্যাপিটালস শিবির। সেইসঙ্গে পঞ্জাব কিংসের আশা কার্যত শেষ করে দিল দিল্লি। ১৭ রানে জিতল দিল্লি ক্যাপিটালস।

এদিন ডি ওয়াই পটেলের পিচ ছিল বোলারদের জন্য স্বর্গরাজ্য। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্যই ছিল বাড়তি সুবিধা। লিয়াম লিভিংস্টোনের তিন উইকেট পাওয়াটাই ছিল তার বড় ইঙ্গিত। বল হাতে যে কাজটা করতে এতটুকু ভুল করেননি অএক্ষর পটেল, কুলদীপ যাদবরা। দুই স্পিনারের ঝুলিতে চার উইকেট। আর তাতেই শেষ পঞ্জাবের জয়ের আশা। ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস অনেকটাই এগিয়ে গেল।

আইপিএলের দিন যত এগোচ্ছে ততই পয়েন্ট টেবিলের অঙ্ক জটিল হয়ে চলেছে। সেই অঙ্কের বিচারেই এদিন মরণ – বাঁচন ম্যাচে নেমেছিল দিল্লি ও পঞ্জাব দুই দলই। সেখানেই লড়াইটা দেখা গেল দুই দলের বোলারদে মধ্যে। সেখানেই শেষ হাসি হাসল কুলদীপ যাদব, অক্ষর পটেল এবং শার্দূল ঠাকুররা। পঞ্জাবের ব্যাটারদের খারাপ পারফরম্যান্স অর্শদ্বীপ এবং লিয়াম লিভিংস্টোনের লড়াই ব্যর্থ করে দিল।

১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে বেঙ্গালুরুকে টপকে গেল দিল্লি, প্লে অফে পৌঁছতে একটি জয় দরকার

টস জিতে পঞ্জাব অধিনায়ক প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পরিকল্পনা কিন্তু একেবারে সফল হয়েছে। প্রথম ওভারেই লিয়াম লিভিংস্টোনকে দিয়ে বোলিং করিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেই বাজিমাত। ডেভিড ওয়ার্নারকে প্রথম ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন তিনি। শুধু ওয়ার্নারই নয় ঋষভ পন্থ এবং রভম্যান পাওয়েলের মতো তারকা ব্যাটারদেরও সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন এই লিভিংস্টোন। দিল্লির ব্যাটিং লাইনআপ কার্যত একাই শেষ করে দিয়েছিলেন তিনি। ঋষভ পন্থ করেছেন ৭ এবং রভম্যান পাওয়েল করেছেন ২।

মিচেল মার্শ ক্রিজে থাকতে না পারলে এদিন দিল্লি ক্যাপিটালস ১০০ রান পেরোতে পারত কিনা সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু এই অজি অল রাউন্ডারই এদিন ত্রাতা হয়ে উঠেছিলেন দিল্ল ক্যাপিটালস শিবিরের জন্য। তাঁর ৪৮ বলে ৬৩ রানের ইনিংস এবং সরফরাজের সঙ্গে ৫১ রানের পার্টননারশিপটাই বোধহয় এদিনের ম্যাচের অন্যত টার্নিং পয়েন্ট ছিল। মার্শের ৬৩ রানের ইনিংসটি সাজানো রয়েছে ৪টি বাউন্ডারি এব ৩টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। তাতেই ভর করে দিল্লি ক্যাপিটালস করেছিল ১৫৯ রান। লিভিংস্টোনের পাশাপাশি এদিন তিন উইকেট নিয়েছিলেন অর্শদ্বীপ সিংও।

বোলাররা তাদের কাজ করে দিয়েছিলেন। এবার পরীক্ষা ছিল পঞ্জাব ব্যাটারদের সামনে। সেখানেই তারা ডাহা ফেল করেছেন। শার্দূল ঠাকুর, অক্ষর পটেল এবং কুলদীপ যাদব, এই তিন বোলারের দাপটে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল পঞ্জাব কিংস ব্যাটিং লাইনআপ। শুরুতেই ৩৮ রানেক মাথায় বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে দিয়ে ধাক্কাটা দেন নর্তজে। এরপর শার্দূলের জোড়া ধাক্কায় বেসামাল পঞ্জাব। শিখর ধওয়ান ও রাজাপক্সেকে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেন তিনি।

যদিও ক্রিজে লিভিংস্টোন ছিলেন। তিনি বোলিংয়ে এদিন দাপট দেখালেও, ব্যাটিংয়ে সেই ঝড় তুলতে পারেননি। তাঁকে ৩ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান কুলদীপ যাদব। ময়াঙ্ককে শূন্য রানে সাজঘরের রাস্তায় ফেরান অক্ষর পটেল। শার্দূল একাই নেন চার উইকেট এবং কুলদীপ ও অক্ষর পটেলরা পান দুটি করে উইকেট। শেষপর্যন্ত জীতেশ শর্মা লড়াইটা চালালেও, তা জয় পাওয়ার জন্য বোধহয় যথেষ্ট ছিল না।