মনিপাল টাইগার্সের প্রথম ম্যাচেই ৭৩ রানের লড়াকু ইনিংস মহম্মদ কাইফের

Mohammad Kaif
Mohammad Kaif. ( Photo Source: Disney + Hotstar )

ভারতীয় দলের বরাবরই কঠিন পরিস্থিতিতে ত্রাতা ছিলেন মহম্মদ কাইফ। এখন নামের পাশে প্রক্তন কথাটা বসেছেই শুধু। ক্রিকেটের বাইশগজে মহম্মদ কাইফ যে এখনও সেই ড্যামেজকন্ট্রোল মাস্টারই রয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। ইডেন গার্ডন্সের চ্যারিটি ম্যাচেই ঝলকটা পাওয়া গিয়েছিল। এদিন ভিলওয়ারা কিংসের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করতে নেমে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করলেন মহম্মদ কাইফ। গোটা দেশকে ফের একবার মুগ্ধ করলেন তিনি। সকলেই তাঁকে দেখে আপ্লুত।

ইডেন গার্ডেন্সে ইন্ডিয়া মহারাজাসের হয়ে চ্যারিটি ম্যাচে নেমেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ইন্ডিয়া মহারাজাসকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন মহম্মদ কাইফ। এদিনও কিন্তু সেই মহম্মদ কাইফই মনিপাল টাইগার্স শিবিরের একমাত্র উজ্জ্বল নক্ষত্র। শুধু মনিপাল টাইগার্সকে কঠিন জায়গা থেকে বাঁচালেনই নয়, এবারের লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে প্রথম অর্ধশতরানও করলেন তিনি। আর তাঁর হাত ধরেই লড়াই করার স্কোরে পৌঁছল মনিপাল লেজেন্ডস।

ভিলওয়ারা কিংসের বিরুদ্ধে ৫৯ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন মহম্মদ কাইফ

টস জিতে এদিন মনিপাল লেজেন্ডসকে প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগ দিয়েছিলেন ভিলওয়ারা কিংস অধিনায়ক ইরফান পাঠান। এখন টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে রান তাড়া করে জেতার পরিসংখ্যানটাই বেশী। সেই ধারা ভাঙতে চাননি ইরফান পাঠানও। আর তাদের পরিকল্পনা যে খুব একটা কাজ করেনি এমনটা বলাও চলে ন। কিন্তু সেই মহম্মদ কাইফের ব্যাটের কাছেই আটকে গেলেন তারা। ব্যাট হাতে ভিলাওয়ারা কিংসদের বিরুদ্ধে ৭৩ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেললেন তিনি। শেষ বল পর্যন্ত এদিন খেলে গেলেন মহম্মদ কাইফ।

১৫ রানের মধ্যেই এদিন ৪ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল মনিপাল টাইগার্সরা। সেই সময়ক্রিজে আসেন মহম্মদ কাইফ। ভারতীয় দলে খেলাকালীনও এমন পরিস্থিতি থেকে বহু ম্যাচে টিম ইন্ডিয়াকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন তিনি। আবারও যেন সেই পুরনো মহম্মদ কাইফকেই দেখা গেল। এদিন ইপান পাঠানদের বিরুদ্ধে তাঁর দক্ষ হাতই মনিপাল টাইগার্সকে লড়াই করার মতো একটা জায়গায় পৌঁছে দিল। মাঠে আসার পর থেকেই মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন তিনি।

সময়যত এগিয়েছে কাইফও ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। ৫৯ বলে ৭৩ রনের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন এদিন মহম্মদ কাইফ।তাঁক গোটাইনিংস জুড়ে একটিও ওভার বাউন্ডারি নেই ঠিকই। কিন্তু রয়েছে ১০টি বাউন্ডারি। এডওয়ার্ডস থেকে ইরফান পাঠানদের বিরুদ্ধে এদিন তিনিই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। আফশোস শুধু একটাই রয়েগেল। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকতে পারলেন না।