অশ্বিনের ঘূর্ণিতে কাত কিউইরা, পাঁচ উইকেট দূরে ভারতের জয়

Team India (Photo Source: Twitter/BCCI)

মুম্বই টেস্টে একেবারে নিশ্চিত জয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ভারত। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬২ রানে অল আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নিউ জিল্যান্ড ব্যাটাররা কিছু করতে পারল না। যদিও প্রথম ইনিংসের মত আজ কিউই ব্যাটররা অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন না। তৃতীয় দিনের শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৫ উইকেটে ১৪০ রান। জিততে এখনও চাই ৪০০ রান, হাতে ৫ উইকেট। এসবই স্কোরোবর্ডে লেখা। আসল প্রশ্ন হল, কাল সোমবার কত তাড়াতাড়ি জিততে পারবে টিম ইন্ডিয়া। লাঞ্চের আগে তো বটেই বিরাট কোহলিরা যদি সোমবার, ম্যাচের চতুর্থ দিন প্রথম ঘণ্টাতেই জিতে যান তাহলে অবাক হওয়ার থাকবে না। এজাজ প্যাটেলের ইনিংসে দশ উইকেট নেওয়ার টেস্টে কিউই ব্যাটাররা কোনও লড়াই করতে পারলেন না।

আজ ম্যাচের তৃতীয় দিনটা পুরোটাই টিম ইন্ডিয়ার হয়ে থাকল। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৭৬ রান করে ডিক্লেয়ার দেওয়ার পর পাহাড়প্রমাণ চাপ নিয়ে ব্যাট করতে নামেন কিউই ব্যাটাররা। জিততে হলে ৫৪০ রান করতে হবে, এমন চাপ নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই অশ্বিনের বলে আউট হয়ে যান অধিনায়ক টম লাথাম (৬)। তারপর অপর কিউই ওপেনার উইল ইয়ং (২০)-কে আউট করেন অশ্বিন। রস টেলর (৬)-কে ফিরিয়ে নিজের ও দলের তৃতীয় উইকেটটেও নেন অশ্বিন। ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে একেবারে কোণঠাসা হয়ে যায় কিউইরা। এরপর চতুর্থ উইকেটে ড্যারি মিচেল-হেনরি নিকোলাস লড়তে থাকেন। তবে ৬০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান ড্যারি মিচেল। মিচলকে আউট করেন অক্ষর প্যাটেল। দিনের খেলা শেষের আগে রান আউট হয়ে যান টম ব্লান্ডেল(০)। ক্রিজে আছেন হেনরি নিকোলাস (৩৬) ও রচিন রবীন্দ্র (২)। অশ্বিন ২৭ রান দিয়ে ৩টি ও অক্ষর ৪২ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। কাল, সোমবার চতুর্থ দিনে ভারতের জয় আসা নিশ্চিত।

প্রথম ইনিংসে দশ উইকেট নেওয়ার পর কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেল আজ ১০৬ রান দিয়ে নিলেন চারটি উইকেট। তার মানে ম্যাচে মোট ১৪টি উইকেট নিলেন এজাজ। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে বাকি তিনটি উইকেট নেন রচিন রবীন্দ্র। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রান করার পর মায়াঙ্ক আজ ৬২ রানে আউট হলেন। ওপেনার পূজারা করলেন ৪৭ রানে। তিনে নেমে শুবমনও করলেন ৪৭ রান। বিরাটকে ৩৬ রানে বোল্ড করেন রচিন বরীন্দ্র। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে শেষের দিকে আউট হন শ্রেয়স আইয়ার (১৪), ঋদ্ধিমান সাহা (১৩)। ২৬ বলে ৪১ রানের দারুণ ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল।

যা প্রয়োজনের থেকে অনেকটাই বেশি বলে অনেকেই বলছেন। যে দল প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়ে যায়, তাদের চতুর্থ ইনিংসে আদৌ প্রয়োজন ছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ডিক্লেয়ার করতে কেন এত দেরি করলেন, টেস্টের মাঝেই কেন এভাবে কার্যত ব্যাটিং প্র্যাকটিশের প্রয়োজন পড়ল তা নিয়েও কথা হচ্ছে।