“আমি দুর্ভাগ্যর কারণে জর্জরিত হয়েছি” – মনে করেন চোটপ্রবণ টি নটরাজন

আইপিএল ২০২৩-এ পারফর্ম করে আবার জাতীয় দলে ফেরার লক্ষ্য নটরাজনের

T Natarajan
T Natarajan. (Photo Source: IPL/BCCI)

সাম্প্রতিক কালে তারকা পেসাররা নিয়মিত চোট পাওয়ায় ভারতীয় দল সমস্যায় পড়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন বাঁ-হাতি পেসার থাঙ্গারাসু নটরাজনও। ২০২০-২১ অস্ট্রেলিয়া সফরে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়ার পরে এই খেলোয়াড় নিয়মিত চোট পেয়ে এখন বাকী পেসারদের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন। যদিও পেসার এই বছরের আইপিএলে লক্ষ্য রাখছেন জাতীয় দলে আবার ডাক পাওয়ার জন্য।

আইপিএল ২০২০-তে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে ১৬ উইকেট নেওয়ার পরে ৩১ বছর বয়সী পেসার প্রথমবার নির্বাচকদের নজরে আসেন। তবে চোট জর্জরিত ২০২১ মরসুম তাঁর কেরিয়ারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল এবং সেই মরসুমের আইপিএলে মাত্র দুটি ম্যাচে উপস্থিত থাকতে পেরেছিলেন৷ সালেমে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার তারপরে আইপিএল ২০২২-এ বল হাতে ফর্মটি পুনরায় আবিষ্কার করেছিলেন এবং ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন।

দুর্ভাগ্যবশত, তিনি আবারও একটি চোট পান, যার ফলে আইপিএল পরবর্তী বেশ কিছু মাস মাঠের বাইরে কাটাতে হয় তাঁকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও স্বাভাবিকভাবে তাঁর জায়গা হয় না। জাতীয় দলে ফেরার দিকে চোখ রেখে আসন্ন আইপিএল সংস্করণে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার প্রত্যাশা রয়েছে নটরাজনের।

“যখনই আমি রাডারে এসেছি, আমি দুর্ভাগ্যর কারণে জর্জরিত হয়েছি। ঈশ্বরের ইচ্ছায় যদি আমি এই আইপিএলে আবারও ভালো করি, আশা করি আমি তাহলে হয়তো এই বছর বিবেচিত হব। আমার জন্য আইপিএলই প্রধান। সেখান থেকেই আমি ভারতীয় দলে ঢুকেছি। সুতরাং, আমি যদি গত বছরের মতো আইপিএলে ভালো করি এবং চোটমুক্ত থাকি, আশা করি আমার সম্ভাবনা রয়েছে,” স্পোর্টস্টারকে বলেছেন নটরাজন।

আমার মানসিকতা সেভাবেই তৈরী করেছি, যাতে আমি যে কোনো পর্যায়ে বোলিং করতে পারি: টি নটরাজন

২০২২-এর শুরুতে নটরাজন মেনিস্কাস টিয়ারের সমস্যায় ভুগছিলেন। সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে অংশ নেওয়ার পরে তাঁর চোট আরও বেড়ে যায় এবং অবশেষে ২০২২-এর শেষের দিকে বিজয় হাজারে ট্রফিতে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ে যান। ডেথ ওভারে তাঁড় মারাত্মক ইয়র্কারের জন্য বিখ্যাত হলেও তিনি ম্যাচের যেকোনো পর্যায়ে বোলিং করতে প্রস্তুত।

“গত আইপিএলে আমার পুরানো হাঁটুর চোটের কাছে মেনিস্কাসে চোট পেয়েছিলাম। আমি এনসিএ-তে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম এবং সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে খেলেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত, এটি আবার একটি সমস্যা সৃষ্টি করেছিল (বিজয় হাজারে ট্রফির সময়), এবং কোচিং স্টাফ আমাকে বিশ্রাম নিয়ে একেবারে ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমার মানসিকতা সেভাবেই তৈরী করেছি, যাতে আমি যে কোনো পর্যায়ে বোলিং করতে পারি। দল কোনো পরিস্থিতিতে আমাকে বোলিং করাতে চায় মানে তারা সেই পরিস্থিতির জন্য আমাকে বিশ্বাস করে। আমি চেষ্টা করি সেই অনুযায়ী পারফর্ম করার,” তিনি যোগ করেছেন।