আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক সিভিসি স্পোর্টসের বেটিং সংক্রান্ত বিনিয়োগ খতিয়ে দেখতে সলিসিটর জেনারেলের দ্বারস্থ বিসিসিআই

আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ললিত মোদি সিভিসির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন

IPL
IPL. (Photo Source: IPL/BCCI)

আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক সিভিসি স্পোর্টসের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিসিসিআই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে রেফার করেছে। ভারত সরকারের সাথে জড়িত নয় এমন বিষয়ে বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন তুষার।  

আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক সিভিসি স্পোর্টসকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ললিত মোদি

সিভিসি স্পোর্টস ৫৬২৫ কোটি টাকায় আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি অধিগ্রহণ করেছে, তবে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য এখনও বেশ কিছু স্বাক্ষর করা বাকি, যা তারা এখনও করে উঠতে পারেনি। তারা এখনও বিসিসিআইয়ের থেকে একটি ইন্টেন্ট পত্র পায়নি৷ আমেরিকান সংস্থাটি বিসিসিআইকে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে যুক্তরাজ্যের একটি বেটিং ফার্মে তাদের বিনিয়োগ অবৈধ নয়।

আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ললিত মোদির একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই বিসিসিআই সিভিসি স্পোর্টসকে নিয়ে চিন্তায় পড়েছে। মোদি আমেরিকান কোম্পানি সিভিসি ক্যাপিটালসের যুক্তরাজ্যের একটি বেটিং কোম্পানিতে বিনিয়োগের বিষয়টি সামনে আনেন এবং এমন কোম্পানির আইপিএল দল কেনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এখন দেখার সিভিসিকে নিয়ে এই অচলাবস্থা কবে কাটে এবং কবে তারা ফ্র্যাঞ্চাইজি গঠনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে।  

সলিসিটর জেনারেল মেহতার প্রাথমিক সুপারিশ ইতিবাচক বলে মনে করা হলেও তিনি বিসিসিআইকে দ্বিতীয় আইনি মতামত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। যদিও বোর্ড দ্বিতীয় কারওর কাছে মতামত গ্রহণ করতে গেছে কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নিচ। তবে পুরো ঘটনার সম্বন্ধে অবগত ব্যক্তিরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বিষয়টির শীঘ্রই নিষ্পত্তি হতে চলেছে, এবং আইন বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি কাজ করছে।

বিদ্যমান আটটি আইপিএল দলের কাছে প্লেয়ার রিটেইন করার জন্য ৩০শে নভেম্বর অবধি সময়সীমা দেওয়া আছে। বিষয়টি নিয়ে যদি আরও বিলম্ব হয়, সেক্ষেত্রে নতুন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি, আহমেদাবাদ এবং লখনউয়ের জন্য সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে। 

রবিবার (২৮ নভেম্বর) রাত পর্যন্ত, আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে কোনও অফিসিয়াল যোগাযোগ করা হয়নি, এবং তাদেরকে এখনও কিছু জানানো হয়নি তাদের ৩০শে নভেম্বরের সময়সীমা আদৌ বাড়ানো হবে কি না।