চলতি অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে প্যাট কামিন্সের অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা করলেন গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং ড্যারেন বেরি

Pat Cummins
Pat Cummins. (Photo Source: Twitter)

অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে খুব একটা ভালো পরিস্থিতির মধ্যে নেই প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া। প্ৰথম ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করার মাধ্যমে ম্যানচেস্টার টেস্টে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড।

গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং ড্যারেন বেরি প্যাট কামিন্সের অধিনায়কত্বের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। ম্যাকগ্রার মতে একজন ফাস্ট বোলারকে অধিনায়কের পদে রাখাটা খুব একটা সুবিধাজনক ছিল না। অন্যদিকে, বেরি মনে করছেন যে অ্যাশেজ সিরিজ ২০২৩ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন প্যাট কামিন্স।

প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাকগ্রা বিবিসি-কে বলেন, “অস্ট্রেলিয়া কিছু জিনিস চেষ্টা করেছে। আমি মনে করি না তারা সত্যিই জানত কি করতে হবে। তারা তাদের লেজকে তাড়া করছিল এবং আমি নিশ্চিত নই যে তারা তাদের পরিকল্পনাগুলি কার্যকর করেছিল। প্যাট কামিন্সকে দেখে আমার একটু ক্লান্ত এবং বিষণ্ণ মনে হচ্ছে এবং একজন ফাস্ট বোলারের অধিনায়ক হিসেবে থাকাটা সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “এই সিরিজটি এখন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে, মোমেন্টাম এবং শক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইংল্যান্ড এখন মোমেন্টাম পেয়েছে এবং কোনো দল এই জিনিসটি পেয়ে গেলে তাদের সেখান থেকে ফিরিয়ে আনা সবসময়ই কঠিন, বিশেষ করে যখন তারা ভালো খেলছে।”

ভিক্টোরিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ড্যারেন বেরি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এটি দেখার অযোগ্য। আমাদের মহান ক্রিকেট খেলার প্রেমীদের শুভরাত্রি জানাই। এই খেলাটি যারা দেখছে তাদের জন্য এটি বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে, তারা অর্ধেক জিনিস বুঝতেই পারছে না। প্যাট কামিন্স নিঃসন্দেহে একজন দুর্দান্ত ক্রিকেটার কিন্তু এই বার্তাটি মনে রাখবেন, তিনি অ্যাশেজ সিরিজের পরে অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন।”

দ্বিতীয় ইনিংসে একটি দুরন্ত শতরান করেছেন মার্নাস ল্যাবুশেন

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১০৮ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। উসমান খাওয়াজা, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ এবং ট্র্যাভিস হেড প্রত্যেকেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেট হারানোর পর মার্নাস ল্যাবুশেন এবং মিচেল মার্শ মিলে পরিস্থিতি সামাল দেন। তারা দুজনে মিলে ১০৩ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন। ল্যাবুশেন ১৭৩ বলে ১১১ রানের একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে আউট হন। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং ২টি ছয়। ইংল্যান্ডের দেওয়া লিড এখনও অতিক্রম করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। শেষমেশ এই ম্যাচের ফলাফল কি হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।