‘যতটা নাটকীয়ভাবে পতনের কথা টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, তা আদপে সত্যি নয়’, বললেন কামিন্স
আপডেট করা - Jan 2, 2024 12:47 pm
কামিন্স টেস্ট ক্রিকেটের অবমূল্যায়ন থামাতে সিলভার বুলেটের আশা করছেন। কিন্তু এর পাশাপাশি তিনি বিশ্বাস করেন যে যতটা নাটকীয়ভাবে পতনের কথা টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, তা আদপে সত্যি নয়। তবু তিনি কখনো কখনো ৫দিনের ক্রিকেটের এই দীর্ঘতম ও ঐতিহ্যশালী ফরম্যাটের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সিডনিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় টেস্টের আগে কামিন্স সাংবাদিক সম্মেলনে এসে খানিক এমনটাই বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার আশা টেস্ট ক্রিকেট বর্তমানে বিগত ১০-২০বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। আমরা এই টেস্টের মরসুমে পাকিস্তান এবং ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলে ভালো ফল করেছি। যে দুটি টেস্ট দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলেছি, সেখানে যথেষ্ট ভালো দর্শক হয়েছিল। তারা প্রতিটি মুহূর্তে দলকে খুব ভালোভাবেই সমর্থন করেছে।’
তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘সুতরাং আমি একদমই মনে করি না যে এটির চূড়ান্ত অবমূল্যায়ন ঘটেছে। যতটা নাটকীয় অবনমনের কথা বলা হয় তা আদপে সত্যি নয়। অনেক নতুন প্রতিভা উঠে আসছে প্রতিনিয়ত, যে কারণে প্রতিযোগিতা আরো বাড়ছে।’
টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা আবার গত সপ্তাহের শেষের দিকে দেখা গেছিল যখন দক্ষিণ আফ্রিকা ফেব্রুয়ারীর শুরুতে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেন। দেখা যায় প্রথম সারির অনেক প্লেয়ার সেই সময় দলের জন্য উপলব্ধ নেই। তারা মূলত এসএ২০ লীগ খেলতে ব্যস্ত থাকবে। নেইল ব্র্যান্ডকে ঐসময় দলের ক্যাপ্টেন নির্বাচিত করা হয়। কামিন্স এ প্রসঙ্গে বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তিনি আরও যোগ করেন,
‘আমি টেস্ট ক্রিকেটকে ভালোবেসে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বড়ো হয়েছি। শুনেছি নিউজিল্যান্ড সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম সারির দল পাঠাচ্ছে না। কিন্তু এটি একেবারেই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’
তিনি মনে করেন, টি-টোয়েন্টি জনসাধারণের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় ফরম্যাট হলেও, অস্ট্রেলিয়ার মাঠে এখনো টেস্ট ক্রিকেট দেখার জন্য উদার জনসংখ্যার দর্শক রয়েছে। গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দুই দিনেই ১ লাখ লোক মাঠে এসেছিলো। কামিন্স বলেন, ‘ একজন টেস্ট ক্রিকেট প্রেমী হিসেবে আমি আশা করি সবাই টেস্ট ক্রিকেট দেখবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে এই মুহূর্তে যতটা শক্তিশালী টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে, তা এর আগে কখনো দেখিনি।’ তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটি ছাড়া খুব কম সংখ্যক দেশেই এমনটা পরিলক্ষিত হয়। এই বিষয়েও খানিক উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কামিন্স।