‘শাট আপ এবং ব্যাট করো’ – তৃতীয় দিন সকালে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়ালেন বেয়ারস্টো ও কোহলি
আম্পায়ার আলিম দারের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হয়
আপডেট করা - Jul 3, 2022 5:13 pm
বার্মিংহ্যামের এজব্যাস্টনে তৃতীয় দিনের শুরুতেই ঘটনার ছড়াছড়ি। প্রথম কয়েক ওভারে বিরাট কোহলি ইংল্যান্ডের ব্যাটার জনি বেয়ারস্টোর সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন। সেই বিবাদের মাঝে আম্পায়ার আলিম দারকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়। অন্যদিকে, গতকাল আগুনে বোলিং করা জসপ্রিত বুমরাহ্ ও মহম্মদ শামি তৃতীয় দিনের প্রথম ওভারগুলিতে ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের আক্রমণের শিকার হলেন।
জনি বেয়ারস্টো কিছু বলার পর প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক কোহলিকে দৃশ্যত অসন্তুষ্ট দেখিয়েছিল এবং ইংল্যান্ড ব্যাটার কে কিছু বলার পরে র সাথে অসন্তুষ্ট দেখা গিয়েছিল বিরাট কোহলিকে। সেই বাক্য বিনিময়ের পর বেয়ারস্টো কোহলির পিঠে চাপড় মেরে বিষয়টিকে লঘু করতে চাইলেও কোহলি শান্ত হননি। স্লিপ কর্ডনে দাঁড়িয়ে বেয়ারস্টোর উদ্দেশে নাগাড়ে কিছু বলতে থাকেন কোহলি।
৩১তম ওভারের প্রথম বলের পরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল। ওভারটি সিনিয়র পেসার মহম্মদ শামি করেছিলেন। কোহলিকে এমনও বলতে শোনা যায় “শাট আপ, শুধু দাঁড়াও এবং ব্যাট করো।”
দেখুন সেই ভিডিও
It's tense out there between Virat Kohli and Jonny Bairstow 😳#ENGvIND pic.twitter.com/3lIZjERvDW
— Sky Sports Cricket (@SkyCricket) July 3, 2022
এদিকে, গতকাল বৃষ্টির বিরতির সময় দুই দলের খেলোয়াড়রা যখন ড্রেসিংরুমে ফিরে যাচ্ছিলেন তখন কোহলিকে বেয়ারস্টোর কাঁধে হাত রেখে বন্ধুত্বপূর্ণ ভঙ্গিতে কিছু বলতে দেখা গিয়েছিল। যদিও তখন দুজনের মধ্যে কী কথা চলছিল তা উদ্ধার করা কঠিন। সেই দৃশ্যে দুজনকেই হাসতে দেখা গিয়েছিল এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মেজাজে ছিল। যদিও, তৃতীয় দিনে দুজনের মধ্যে সেই মেজাজ একেবারেই দেখা যায়নি।
তৃতীয় দিনে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং জনি বেয়ারস্টোর
“জানি না, ওখানে কী হয়েছিল। বেয়ারস্টো এবং কোহলির মধ্যে কিছু একটা আছে। নিশ্চিতভাবেই, বেয়ারস্টো কিছু বলেছে, কোহলিও ফিরিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ,” কমেন্টারি বক্স থেকে নাসের হুসেন বলেছেন। পরে, কোহলি পরিস্থিতি হালকা করার জন্য বেয়ারস্টোর কাঁধে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ঘুষি মারেন এবং তাঁকে স্টোকসের সাথে কথা বলতে দেখা যায়।
এজবাস্টন টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম ৩০ মিনিটে প্রচুর নাটকীয়তা দেখা গিয়েছিল। জনি বেয়ারস্টো প্রাথমিকভাবে সাবধানে খেললেও কিছু ওভার পরেই বুমরাহ্ ও শামির বিপক্ষে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করা শুরু করেন এবং ৮১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। নাটকীয়তা যদিও সেখানেই শেষ হয়নি। স্টোকস ১৮ রানে ব্যাটিং করার সময় শামির ডেলিভারিতে স্টেপ আউট করে মারতে গেলে বল তাঁর ব্যাটের টপ এজে লেগে উপরে উঠে যায়, যদিও কভারে ফিল্ডিং করা শার্দূল ঠাকুর ক্যাচ ফেলে দেন। তারপরে জসপ্রিত বুমরাহও স্টোকসের ক্যাচ ফেলেন। যদিও শেষ অবধি শার্দূল ঠাকুরের বলে বুমরাহর হাতেই ক্যাচ দিয়ে ২৫ রানে আউট হন স্টোকস।