টুইটার রিঅ্যাকশনঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তিদের বিদায় লগ্নে উজ্জ্বল ডেভিড ওয়ার্নার

ম্যাচ শেষে দুই দলের আদানপ্রদানে ফুটে উঠল আবেগঘন মুহূর্ত

Australia vs West Indies
Australia vs West Indies. (Photo by Gareth Copley-ICC/ICC via Getty Images)

অস্ট্রেলিয়া ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা আরও শক্তিশালী করেছে। শনিবার, 6 নভেম্বর, আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অ্যারন ফিঞ্চ অ্যান্ড কোং কায়রন পোলার্ডের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আট উইকেটে পরাজিত করে। তাদের জয় দক্ষিণ আফ্রিকার উপর চাপ সৃষ্টি করেছে, যাদেরকে শুধুমাত্র ইংল্যান্ডকে হারাতে হবে না, তাদের নেট রান রেট অস্ট্রেলিয়ার উপরেও পেতে হবে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাঁচান পোলার্ড

প্রথমে ব্যাট করতে নামার পর, ক্রিস গেইল এবং এভিন লিউইস প্রথম উইকেটে ১৪ বলে ৩০ রানের জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একটি দুরন্ত শুরু এনে দেন। কিন্তু পরবর্তী এক ওভারের মধ্যেই তারা ৩৫ রানে তিন উইকেটে  হারানোয় তাদের গতি রুদ্ধ হয়। প্যাট কামিন্স গেইলকে আউট করার পর জশ হ্যাজলউড একই ওভারে নিকোলাস পুরান এবং রোস্টন চেজকে ড্রেসিংরুমের পথে পাঠান। সেখান থেকে ইনিংস পুনর্গঠনের চেষ্টা করেন লিউইস ও শিমরন হেটমায়ার। 

দুজনে মিলে ৩৬ বলে ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। অ্যাডাম জাম্পার ধুরন্ধর বোলিংয়ের জোরে পাঁচটি চার মেরে ২৯ রান করে সেট হয়ে যাওয়া লিউইসকে আউট করে জুটিটি ভাঙেন। ২৭ রান করার পর হেটমায়ার হ্যাজলউডের দ্বিতীয় শিকার হন। জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে নামা ডোয়েন ব্রাভোও শিকার হন হ্যাজলউডের। কায়রন পোলার্ডের ৩১ বলে ৪৪ রানের ইনিংসটি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কিছুটা গতি এনে দেয়। শেষ পর্যন্ত আন্দ্রে রাসেলের সাত বলে ১৮ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৭ রানে পৌঁছতে সাহায্য করে।  

অস্ট্রেলিয়াকে দেশে ফিরিয়েছেন ওয়ার্নার

শুরু থেকেই দ্রুত গতিতে রান তুলে অসিরা তাদের অভিপ্রায় প্রকাশ করে দেয়। যদিও আকিল হোসেইনের কাছে ফিঞ্চ উইকেট হারান, তাও পাওয়ারপ্লেতে অস্ট্রেলিয়া ৫৩ রান সংগ্রহ করে। ডেভিড ওয়ার্নার গতি বজায় রেখে ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। ওয়ার্নারের দ্রুত গতির ব্যাটিংয়ে ভর করেই অস্ট্রেলিয়া ১৬.২ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছনো নিশ্চিত করে। মিচেল মার্শ তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন। 

ম্যাচ যখন ক্যারিবিয়ানদের হাতের বাইরে চলেই গেছে তখন বোলিং করতে আসেন বর্ষীয়ান ক্রিস গেইল। তাঁর প্রথম ওভারের শেষ বলে মিচেল মার্শকে আউট করেন তিনি। ডানহাতি ব্যাটার মার্শ ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরী পূর্ণ করেন এবং ৩২ বলে ৫৩ রান করেন পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায়। ওয়ার্নার ৫৬ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থেকে তাঁর দলকে জয় এনে দেন।