রশিদ খানের আকস্মিক আক্রমণ সামলে কোন মতে হার সামলাল অস্ট্রেলিয়া

হাফ সেঞ্চুরি করে ম্যাচের সেরা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল

Team Australia
Team Australia. (Photo Source: Twitter)

আফগানিস্তানের ব্যাটারদের ঝোড়ো আক্রমণ কোনমতে ঠেকাতে পারল অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেড ওভালে ৪ রানের একটি সংকীর্ণ জয় অর্জন করলেও তাদের সেমি-ফাইনালে যাওয়া এখনও নিশ্চিত নয়। হার্ড হিটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝকঝকে হাফ সেঞ্চুরির পর গতবারের চ্যাম্পিয়নরা ১৬৮ রানের মাঝারি স্কোর খাড়া করে। গ্রুপের শেষ সুপার ১২ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা না জিতলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে যাওয়া সম্ভব হবে না অস্ট্রেলিয়ার।

টাইমিংয়ের অভাবে তৃতীয় ওভারে উসমান ঘানি ২ রানে আউট হওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়া আশা করেছিল আফগানিস্তানকে স্বল্প রানে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে। তবে উসমানের ওপেনিং সঙ্গী রহমানুল্লাহ্‌ গুরবাজ ইনিংসকে গতি দেন কয়েকটি সুদর্শন শট খেলে। পাওয়ারপ্লে-র শেষ ওভারে তিনি আউট হলেও ততক্ষণে আফগানিস্তান ৪৭ রানে পৌঁছে গিয়েছিল।

ইংল্যান্ডের নেট রান রেটকে টপকে যাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে তাদের প্রতিপক্ষকে আটকাতে হত ১০৬ রানের নীচে। তবে তাদের প্রচেষ্টাকে ধূলোয় মিশিয়ে দেয় তৃতীয় উইকেটে গুলবাদিন নাইব ও ইব্রাহিম জাদরানের ৫৯ রানের জুটি। নাইব ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হওয়ার আগে ২৩ বলে ৩৯ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন।

এরপর আফগানিস্তান মিডল অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। নাইব যে ওভারে আউট হন সেই ওভারেই অ্যাডাম জ্যাম্পা ইব্রাহিম ও নাজিবুল্লাহ্‌ জাদরানকে আউট করেন। পরের ওভারেই আউট হন মহম্মদ নবি। ৯৯/৩ থেকে ১০৩/৬ হয়ে যাওয়া আফগানিস্তানকে এরপর টানেন রশিদ। তিনি শেষ অবধি ২৩ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জেতাতে পারেননি।

ম্যাক্সওয়েলের আক্রমণের পরে আফগানিস্তানের বোলাররা ডেথ ওভারে দলকে ফিরিয়ে আনেন

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের শুরুতে টস জিতে মহম্মদ নবি গতবারের চ্যাম্পিয়নদের প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। চোট পাওয়া অ্যারন ফিঞ্চের বদলে একাদশে আসা ক্যামেরন গ্রিনকে তৃতীয় ওভারে ফজল হক ফারুকী আউট করে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ধাক্কা দেন।

পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে সুইচ হিট মারতে গিয়ে স্টাম্প হারান গ্রিনের অভিজ্ঞ ওপেনিং সঙ্গী ডেভিড ওয়ার্নার। টিম ডেভিডের পরিবর্তে দলে আসা প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ সেই ওভারেই আউট হন। গত বছরের ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় মিচেল মার্শ তাঁর ইনিংসের শুরুতে অতিরিক্ত জীবন পান যখন তাঁর ক্যাচ মিস হয়।

অস্ট্রেলিয়া তাদের নেট রান রেট বাড়ানোর আশায় গিয়ার পরিবর্তন করতে শুরু করলে ৩০ বলে ৪৫ ​​রান করে মার্শ আউট হন। তখন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং মার্কাস স্টইনিসের বিপজ্জনক হার্ডহিটিং জুটি জুটি দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২০০ রানের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

তবে আফগান বোলাররা ডেথ ওভারে সুশৃঙ্খল বোলিং করে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন এবং বোর্ডে ১৬৮ রানের বেশী তুলতে পারে না অস্ট্রেলিয়া। ফজল হক ফারুকী ও নাভীন-উল-হক আফগানিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পরে টুইটারের প্রতিক্রিয়া