বিরাট কোহলির দাপুটে ইনিংস ও সূর্যের তেজে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ জয় ভারতের

India Beat Australia
India Beat Australia. ( Image Source: twitter/bcci )

বিরাট কোহলির দক্ষ হাত ও সূর্যের তেজে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এদিন জিততেই হত ভারতীয় দলকে।  সেই ম্যাচেই ফের একবার জ্বলে উঠলেন বিরাট কোহলির। বড় মঞ্চ সবসময়ই বড় ক্রিকেটরদের। সেটা বিরাট কোহলি আবারও একবার বুঝিয়ে দিলেন। হয়ত শেষ বল পর্যন্ত মাঠে থাকতে পারেননি তিনি ঠিকই। কিন্তু ভারতের ম্যাচ জয়ের ম্যাচ জয়ের প্রধান কারিগড় তিনিই। তাঁর হাত ধরেই অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। ৪৮ বলে বিরাট কোহলি খেললেন ৬৩ রানের ইনিংস। সূর্য খেলেছেন ৬৯ রানের ইনিংস।

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজেই ভারতীয়দল নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করে নিতে চেয়েছিল। সেখানেই হার্দিক থেকে বিরাট রোহলিকে নিয়ে এবার কিন্তু খানিকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেই ভারতীয়টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও বোলিংটা কিন্তু পুরোপুরি চিন্তামুক্ত করতে পারেনি টিম ইন্ডিয়াকে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই সিরিজ জয় যে টিম ইন্ডিয়াকে বিরাট আত্মবিশ্বাস যোগালতা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেইসঙ্গে বিরাট কোহলির ফর্মে ফেরাটাও এখন ভারতীয় দলের অন্যতম স্বস্তির কারণ।

দুর্ধর্ষ বোলিং করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন অক্ষর পটেল

গত ম্যাচ জয়ের পরই বারতীয় দলের আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে গিয়েছিল। এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় দলের অধিনা.ক রোহিত শর্মা। প্রতিদিনের মতো এদিনও শুরু থেকেই অজি ওপেনার ক্যামের গ্রীন ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। পাঁচ ওভারের মদ্।ে তাঁর হাত ধরেই তো অস্ট্রেলিয়া ৫০ রানে পৌঁছে গিয়েছিল। গ্রীন নিজেওএদিন খেলেন ২১ বলে ৫২ রানের ইনিংস। যদ্ও এরপরই অক্ষর পটেলের স্পিনের জাদুতে হটাত্ই ম্যাচের মোর ঘুরে যায়।

অক্ষর একাই এদিন তিন উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। ফিঞ্চ, ম্যাক্সওয়েল এবং জশ ইঙ্গলিসদের উইকেটটাই অস্ট্রেলিয়াকে সেই সময় চাপে ফেলে দিয়েছিল। যদিও সেই চাপটা কিন্তু বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ভারতীয় দল। সেই জায়গা থেকেই বিধ্বংসী ইনিংস খেলা শুরু করেন টিম ডেভিড। আর তাতেই অস্ট্রেলিয়া ফের বড় রান দিতে এগোতে থাকে। শেষপর্যন্ত টিম ডেভিডের বিধ্বংসী ইনিংসেরক সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়াপৌঁছয় ১৮৬ রানে। সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ভারতের সামনে তখন কঠিন লক্ষ্য।

৩০ রানের মদ্যেই টিম ইন্ডিয়ার ওপেনিং জুটি শেষ হয়ে যায়। ভাকতের ওপর সেই সময় পাহাড় সমান চাপ। কিন্তু বিরাট কোহলি ফর্মে থাকলে যে ক্রিজে সবকিছুই সম্ভব তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি। সেইসঙ্গে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে বিশ্বকাপের আগে খানিকটা স্বস্তির বার্তাও দিলেন। সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে এদিন ১০০ রানের পার্টনারশিপটাই যে ম্যাচটা ূের করে দিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন সূর্যকুমার যাদব

ম্যাচের শুরু থেকেি বিরাট কোহলি যেমন আক্রমণাত্মক ছিলেন। তেমনই ক্রিজে সূর্যকুমার যাদবকেই বারবার সাহস যোগাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। চাপের মুহূর্তে একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের গয়ত যেটা করা উচিত্ সেটাই করে গিয়েছেন তিনি। সূর্যকুমার যাদব করেন এদিন ৬৯ রান। বিরাট কোহলি লড়াইটা করে গিয়েছেন শেষ পর্যন্ত।

তাঁর ৬৩ রানের ম্যাচ উিনিংস ইনিংসটি সাজানো রয়েছে ৩টি চার ও ৪টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। শেষ ওভারে ভারতের যথন জিততে পেরয়োজন ১১ রান, সেই সময় বিরাটের হাত থেকে ফের একটা লম্বা ছয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচ জয়টা তখন সময়ের অপেক্ষা। ১ বল বাকি থাকতে সেই কাজটা করে দেন হার্দিক পান্ডিয়া।