ডেভন কনওয়ের বিধ্বংসী ইনিংস এবং স্যান্টনারের বোলিংয়ে অজিদের বিরুদ্ধে বিরাট জয় নিউ জিল্যান্ডের

New Zealand
New Zealand. ( Image Source: Twitter )

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতেই লজ্জার হার অস্ট্রেলিয়ার। ডেভন কনওয়ের ৯২ রানের ইনিংসটাই এদিন ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে বের করে নিয়ে চলে গিয়েছিল। আর বাকিটা সামাল দিয়ে দেন কিউই বোলাররা। ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তারকাখচিত অজি ব্যাটিং লাইনআপ সহজেই েন আত্মসমর্পন করে দিল এদিন। কোনওরকমে বিশ্বকাপে তাদের সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জা এড়াতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরাট ব্যবধানে হেরে, নিজেদের রাস্তাটা অনেকটাই কঠি করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই ৮৯ রানে হার অস্ট্রেলিয়ার।

এবারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে অন্যতম ফেভারিচ দল ছিল অস্ট্রেলিয়া। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও তাদেরকেই এগিয়েরেখেছিল সকলে। কিন্তু মাঠের নামার পরই বদলে গিয়েছিল গোটা চিত্রটা। বিশেষ করে ডেভন কনওয়ের দুর্ধর্ষ ইনিংসটাই অস্ট্রেলিয়ার জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করার সমস্ত আশা শেষ করে দিল। সেইসঙ্গে বল হাতে মিচেল স্যান্টনার এবং টিম সাউদির পারফরম্যান্স। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া এদিন শুরু থেকেই নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাক ফুটেই ছিল।

১১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে তাদের হারাল নিউ জিল্যান্ড

টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারণ ফিঞ্চ। টি টোয়েন্টির ধারা ভেঙে বেড়োতে চাননি তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই হিসাবটাই মিলল না এদিন ্্যারণ ফিঞ্চের। ব্যাট হাতে এদিন শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ডেভন কনওয়ে। শুরু থেকেই তাঁর  সামনে বিপর্যস্ত হতে হয়েছে অস্ট্রেলিয় বোলারদের। জশ হেজেলউড দুটো উইকেট নিলেও,  ৪১ রান দিয়েছেন তিনি।

তেমনই অস্ট্রেলিয়ার তারকা বোলার মিচেল স্টার্কও এদিন চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন। নিউ জিল্যান্ডের মাতির তিনটি উইকেটই তুলতে পেরেছিল তারা। ৫৮ বলে এদিন ৯২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে গিয়েছেন ডেভন কনওয়ে। তাঁর গোটা ইনিংস জুড়ে রয়েছে ৭টি চার ও ২টি  ছয়। একইসঙ্গে পিন অ্যালেনও এদিন অজিদের বিরুদ্ধে রানের ঝড় তুলেছিলেন। ১৬ বলে ৪২ রান করে বোলারদের মনোবলটা তিননই ভেঙে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।

মাত্র ৩ উইকেট খুইয়ে ২০০ রান করে নিউ জিল্যান্ড। ঘরের ামঠে প্রথম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার সামনে চিল রানের পাহাড়। সেখানে শুরু থেকেই অজি ব্যাটাররা আক্রমণাত্মক খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাউজদি এবং স্যান্টনারের বোলিংয়ের সামনে সমস্ত পরিকল্পনাই ব্যর্থ ছিল তাদের। ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচল মার্শকে পাও.ার প্লের মধ্যেই সাজঘরে ফিরিয়ে দেন টিম সাউদি। এরপর মিচেল স্যান্টনার অ্যারণ ফিঞ্চ, টিম ডেভিড এবং মার্কাস স্টয়নিসকে তুলে নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের জয়টা কার্যত পাকা করেই দিয়েছিলেন।

৫০ রান করতেই চার উইকেট কুইয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল একটু চেষ্টা করলেও, নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই লড়াইটা যথেষ্ট ছিল না। প্রায় ১১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের মঞ্চে জয় ছিনিয়ে নিল নিউ জিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে মাত্র ১১১ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়া।