পরিসংখ্যানে ভারতের থেকে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড

Kane Williamson and Virat Kohli
Kane Williamson and Virat Kohli. (Photo Source: Getty Images)

রবিবার ডু অর ডাই ম্যাচে পরিসংখ্যানের দিক থেকে ভারতের থেকে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। তবে বিশ্বকাপে পরিসংখ্যান কতটা ওলট-পালট হতে পারে তার প্রমাণ বহু মিলেছে। সম্প্রতি পাকিস্তান ভারতকে হারিয়েছে। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম। গত রবিবার ম্যাচের আগে বিশ্বকাপে ভারত ১২-০ তে এগিয়ে ছিল। কিন্তু এবার ১২-১ করে নিল পাকিস্তান। তাই সোমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বিরাট কোহলিদের সব বিভাগে কেন উইলিয়ামসনদের টেক্কা দিতেই হবে এবং ম্যাচ জিততেই হবে এই টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে।

তবে রবিবার ম্যাচের আগে ভারত – নিউজিল্যান্ডের পরিসংখ্যানটা এক বার দেখে নেওয়া যাক –

শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হেরেছে ভারত। তার মধ্যে ২০১৯ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপ, ২০০৭ সালের টি২০ বিশ্বকাপ রয়েছে। কয়েক মাস আগে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও উইলিয়ামসনদের কাছে হেরেছেন কোহলীরা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের শেষ জয় এসেছিল ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অধিনায়কত্বে ভারত ৭ উইকেটে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে।

টি২০ ম্যাচের বিচারে এখনও পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের থেকে পিছিয়েই রয়েছে ভারত। দু’দলের মধ্যে মোট ১৭টি কুড়ি-বিশের ম্যাচ হয়েছে। তার মধ্যে নিউজিল্যান্ড ৮টি ও ভারত ৬টি ম্যাচ জিতেছে। ২টি ম্যাচ টাই ও একটি খেলা পরিত্যক্ত হয়েছে। আর একটি মাত্র ম্যাচে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন রানের নিরিখে তুল্যমূল্য দু’দল। যেখানে ভারতের সর্বোচ্চ রান ৬ উইকেটে ২০৮, সেখানে নিউজিল্যান্ড সর্বোচ্চ করেছে ৬ উইকেটে ২১৯। ভারতের সর্বনিম্ন রান ৭৯ অলআউট। সেখানে নিউজিল্যান্ড টি২০-তে সর্বনিম্ন ৬ উইকেটে ৬১ রান করেছে।

আর ভারত – নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার জাহির খান বলেছেন, ‘ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্য়াচের পরই সম্ভবত ঠিক হয়ে যাবে, কোন টিম (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) ছিটকে যাবে। কারণ দুই দলই ইতিমধ্যে প্রথম ম্যাচ হেরে বসে রয়েছে। এ বার ওরা একে অপরের মুখোমুখি হবে। সকলে বলছিল, এটা নাকি সহজ গ্রুপ। কিন্তু এই গ্রুপটা খুবই অসাধারণ। ভারতকে যে কোনও মূল্যে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে হবে। না হলে ওদের কাছে লড়াইয়ে টিকে থাকাটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে।’