ডব্লুটিসির ফাইনালে খেলতে না পেরে হতাশ হয়েছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নেওয়ার পর নিজের মুখেই একথা জানালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন
আপডেট করা - Jul 13, 2023 2:01 pm
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লুটিসি) ফাইনালে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল ভারত। তার মতো একজন অভিজ্ঞ স্পিনারকে প্ৰথম একাদশে না রাখায় সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্ৰথম টেস্টের প্ৰথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর অশ্বিন বলেছেন যে ডব্লুটিসির ফাইনালে খেলতে না পারায় তিনি হতাশ হয়েছিলেন।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, “আগেও ওই ম্যাচ নিয়ে বলেছি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বসে থাকা যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই কষ্টের। কিন্তু বাদ পড়ে যদি সাজঘরে ঝগড়াঝাটি করি, তাহলে আমার সঙ্গে বাকিদের পার্থক্য কোথায় থাকল। ফাইনালে খেলার জন্যে প্রস্তুত ছিলাম। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে তৈরি ছিলাম। পরিকল্পনাও ছকে রেখেছিলাম। তবে এটাও মনে হয়েছিল আমি নাও খেলতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জেতা আমাদের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার ক্রিকেটজীবনের অন্যতম সেরা সাফল্য হতে পারত সেটা এবং খেলতে পারলে সেখানে আমার অবদানও থাকত। দুর্ভাগ্যবশত যা ভেবেছিলাম তা হয়নি। প্রথম দিনেই আমরা বিপক্ষের থেকে অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিলাম।”
তিনি যোগ করেছেন, “পৃথিবীতে এমন কোনও ক্রিকেটার নেই যাদের জীবনে উত্থান-পতন আসেনি। পতনের সময়ে মানুষের কাছে দুটো বিকল্প থাকে। হয় আপনি সেটা নিয়ে কথা বলতে থাকুন, অভিযোগ করুন এবং তা নিয়ে যা আলোচনা হবে সেটা সহ্য করুন। অথবা কিছু না কিছু শিখুন। আমি এমন একজন মানুষ যে কঠিন সময়ে কিছু না কিছু শিখতে চায়।”
“যত টুকু সাহায্য ছিল ততটাই আমরা কাজে লাগিয়েছি” – রবিচন্দ্রন অশ্বিন
উইন্ডসর পার্কের পিচ নিয়ে মুখ খুলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্ৰথম ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি ২৪.৩ ওভারে মাত্র ৬০ রান দিয়ে ৫টি উইকেট শিকার করেছেন। রবীন্দ্র জাদেজা তিনটি উইকেট পেয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ উইকেটে মাত্র ১৫০ রান করতে সক্ষম হয়েছে। প্ৰথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৮০ রান। রোহিত শর্মা এবং যশস্বী জয়সওয়াল যথাক্রমে ৬৫ বলে ৩০ রান এবং ৭৩ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, “উইকেটে কিছুটা বাউন্স ছিল। পিচের কিছু কিছু অংশে বল ফেলায় বাউন্স পেয়েছি। প্রথম সেশনটা আমরা দারুণ কাজে লাগিয়েছি। পিচে আর্দ্রতা ছিল। সেটাও কাজে লেগেছে। কিন্তু ঘূর্ণি খুব বেশি ছিল না। যত টুকু সাহায্য ছিল ততটাই আমরা কাজে লাগিয়েছি।”