বিরাট মঞ্চে নায়ক বাতিল ঘোড়া রজত পাতিদার, আহমেদাবাদে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

Royal Challengers Bangalore
Royal Challengers Bangalore. ( Photo Source: IPL/BCCI )

বিরাট মঞ্চে এদিন নায়ক বেঙ্গালরুর এক সময়ের বাতিল ঘোড়া রজত পাতিদার। লড়াইটা হাড্ডহাড্ডি হল ঠিকই। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিরাট কোহলিদের মুখেই জয়ের হাসি ফুটল। ইডেন গার্ডেন্স সবসময়ই স্বপ্নপূরণের মাঠ। লখনউয়ের দৌড় থামল ঠিকই, কিন্তু বিরাট কোহলিদের স্বপ্নের দৌড় অব্যহত থাকল। লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ১৪ রানে হারিয়ে হারিয়ে আহমেদাবাদের টিকিট পাকা করে ফেলল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আর বিরাটদের এই সাফল্যের নায়কের নাম রজত পাতিদার। তাঁর  বিধ্বংলী ইনিংসে ভর করে গড়ে তোলা রানের পাহাড় এদিন টপকাতে পারল লখনউ সুপার জায়ান্টস।

গতবার এই রজত পাতিদারকেই মাত্র চারম্যাচ খেলাতে পেরেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু এবারের নিলামের আগেই তাঁকে বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যদেবতার হিসাব খানিকটা অন্যরকমই ছিল। আইপিএলের মাঝপথেই সিসোদিয়ার ছিটকে যাওয়ায় ফেরর বেঙ্গালুরুতে প্রত্যাবর্তবন রজতের। ইডেনের পলেঅফের মঞ্চে সমস্ত তারকাদের পিছনে ফেলে বেঙ্গালুরুর জয়ের নায়ক হয়ে উঠলেন সেই রজত পাতিদারই। ইডেনের বাইশগজে এদগিন তারকা হয়ে উঠলেন রজত পাতিদার।

চলতি আইপিএলে ৪৯ রানে সেঞ্চুরী করে রেকর্ড গড়লেন রজত পাতিদার

বৃষ্টি বিঘ্নিত ইডেন গার্ডেন্সের এলিমিনেটর ম্যাচ। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪০ মিনিট পর শুরু হয় এদিন রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচ। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত লোকেশ রাহুলের। বৃষ্টি ভেজা ইডেমনের আউটফিল্ড স্লো। সেই সুবিধাটা কাজে লাগিয়েই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করার কৌশল ছিল  লোকেশ রাহুলের। অন্যদিকে ইডেন গার্ডেন্সের সমর্থকদের চোখে তখন বিরাটের হাত থেকে বড় ইনিংস দেখার প্রত্যাশা। কিন্তু ম্যাচের ভবিষ্যত তো অন্যকিছুই ঠিক করা ছিল।

বড় রান পেতে ব্যর্থ হন বিরাট কোহলি। ডুপ্লেসি নেমেই ০ রানে সাজঘরে ফেরেন। বিরাট কোহলিকেও থামতে হয় ২৫ রানে। সেই সময় থেকেই ইডেনের ক্রিজে দাঁড়িয়ে রজত পাতিদার। প্রতিপক্ষ তো বটেই, হয়ত বেঙ্গালুরু শিবিরও তখন আসন্ন ঝড়ের সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল ছিলনা। দলের কঠিন পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে ভিত মজবুত করার খেলা শুরু তখন। এরইমাঝে ম্যাক্সওয়েল ও লোমরোও ফিরে যান। চাপ আরও বেশী। ক্রিজে দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তোলার কাজ শরু রজত পাতিদার।

সময় যত এগোতে থাকে ততই যেন ধীরে ধীরে ভয়ঙ্ক রূপ ধারণ করতে থাকেন তিনি। ম্যাচের শেষ ৭ ওভারে লখনউয়ের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে তান্ডব চলল। আর সেই তান্ডব নৃত্যের নায়ক রজত পাতিদার। ৪৯ বলে ঝোরো শতরানের ইনিংস। বেঙ্গালুরুর জয়ের ভিতটা তখনই মজবুত হয়ে গিয়েছিল। ১২টি চার ও ৭টি ছয় দিয়ে সাজানো ১১২ রানের ইনিংস খেলে রজত পাতিদার যখন মাঠ ছাড়েন তখন বেঙ্গালুরুর রান ২০৭।

প্লেঅফের মঞ্চে লখনউয়ের সামনে বিরাট লক্ষ্য। ম্যাচ জিততে হলে এদিন লখনউয়ের হয়ে একটা দুরন্ত ইনিংস খেলতে হত লোকেশ রাহুলক। শুরুতেই ডিকক, মনন বোহরা-রা ফিরে যান। কিন্তু অধিনায়ক লোকেশ রাহুল এদিন একদন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দলকে। আর দীপক হুডার সঙ্গে তাঁর ৯৬ রানের পার্টনারশিপ দেখে একটা সময় তো মনে হচ্ছিল ম্যাচের রাশ লখনউয়েরই হাতে।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আহমেদাবাদে রাজস্থানের বিরুদ্ধে নামবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

কিন্তু ক্রিকেট সবসময়ই বড় অনিশ্চিয়তার খেলা। হলও তাই। দীপক হুডার ফিরতেই ফের বেঙ্গালুরুর চেপে ধরা। যদিও লোকেশ রাহুল একা ড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বেঙ্গালরুর দুর্ধর্ষ ডেথ ওভার পারফরম্যান্সেই সব শেষ। লোকেশ রাহুলকে ৭৯  রানে থামতেই হল। সেইসঙ্গে লখনউয়েরও ফাইনালের পথে দৌড়টা থেমে যায়। ১৯৩ রানেই থেমে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস।