কুলদীপ-রবি বিষ্ণোইয়ের দুর্ধর্ষ স্পিনে ১০০ রানেই শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৪-১ সিরিজ জয় ভারতের

india_win
india_win. ( image Source: twitter )

সিরিজ আগেই জয় হয়ে গিয়ছিল। এশিয়া কাপে নামার আগে ওয়েস্ট ইন্জিজের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে তরুণ ক্রিকেটারদেরই ফের একবার ঝালিয়ে নিচতে চেয়েছিল ভারতীয় দল। অবশেষে সেই মঞ্চেই রানে ফিরলেন শ্রেয়স আইয়ার। তাঁর হাত ধরেই ফ্লোরিডাতে পঞ্চম টি টোয়েন্টিতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বধ সম্পূর্ণ ভারতের। শ্রেয়স আইয়ারের দুর্ধর্ষ অর্ধশতরান। আর বল হাতে এগদিন ক্যারিবিয়ান ব্রিগেডকে দাঁড়াতেই দিলেন না কুলদীপ যাদব ও রবি বিষ্ণোই। কুলদীপের শিকার ৩ এবং রবি বিষ্ণোই নিলেন চার উইকেট।।

সিরিজ হয়ে গেলেও শেষ ম্যাচে জিতেই মাঠ ছাড়তে চেয়েছিল ভারতীয় দল। শ্রেয়স আইয়ারের বিধ্বংসী অর্ধশতরান সেই রাস্তাটা তৈরি করে দিয়েছিল। আর ভারতের জয়টা পাকা করে দিলেন কুলদীপ যাদব ও রবি বিষ্ণোই। এই প্রথমবার মাঠে নমেছিলেন কুলদীপ যাদব। আর তাতেই বাজিমাত। তাঁর স্পিনের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ। একাই নিলেন তিন উইকেট। সঙ্গে তিন উইকেট পেলেন রবি বিষ্ণোইও।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজে প্রথম ম্যাচে নেমেই ৩ উইকেট কুলদীপ যাদবের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে দলের সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ এবং ভুবনেশ্বর কুমারদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই অধিনায়ক হয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথমবার টি টোয়েন্টি সিরিজে ভারতীয় দলে এসেছিলেন কুলদীপ যাদব। সেখানেই টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া।

এই সিরিজে প্রথমবার ভারতীয় দলে ফিরেছিলেন ঈশান কিষাণও। তিনি এবং শ্রেয়স আইয়ারই ওপেন করতে আসেন এদিন। ঈশান কিষাণ ফের ব্যর্থ মাত্র। ১১ রানেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। কিন্তু শ্রেয়স আইয়ার এদিন প্রথম থেকেই বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন। গোটা সিরিজের প্রথম চার ম্যাচের অকটিও বড় রান পাননি তিনি। তাঁকে নিয়েও কথাবার্তা হতে শুরু করে দিয়েছিল। শেষপর্যন্ত এই ম্যাচেই রানে ফিরলেন তারকা ব্যাটার শ্রেয়স আইয়ার। এদিন ৪০ বলে ৬৪ রানে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শ্রেয়স আইয়ার।

তাঁর গোটা ইনিংসটি সাজানো রয়েছে ৮টি চার ও ২টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। ৭ উইকেট খুইয়ে ১৮৮ রান করে ভারত। ঘরের মাঠে সিরিজ হাতছাড়া হলেও, মান বাঁচানোর জন্য এটাই সুযোগ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু ভারতের দুই স্পিনারের আক্রমণের সামনে মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারল না তারা। শিমরণ হেটমায়ার চেষ্টা চালালেও, শেষরক্ষা করতে পারেননি তিনি।

প্রথম ম্যাচে ফিরেই তিন উইকেট কুলদীপ যাদবের। নিকোলাস পুরান, ওডিন স্মিথ এবং ডমিনিক ড্রেকস। তিনজনতকে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেন তিনি। ভয়ঙ্কর ফর্মে ছিলেন রবি বিষ্ণোইও। তাঁর শিকার শিমরন হেটমায়ার, কিমো পল এবং রভম্যান পাওয়েলদের মতো তারকারা। মাত্র ১৫.৪ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে দেয় ভারতের এইঅ দুই তারকা স্পিনার। ৮৮ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজও ৪-১-এ পকেটে পোরে ভারতীয় দল।