“অনেকেই জানেন না ম্যাককালাম দলটাকে নিয়ে কতটা কাজ করেছে”, কোচ ম্যাককালামের প্রশংসায় মেন্টর ডেভিড হাসি

তারিফ করলেন আইয়ার ও গিলেরও

সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আসার পর থেকে যেন অন্য এক কলকাতা নাইট রাইডার্সকে দেখা যাচ্ছে। প্রথম সাত ম্যাচে মাত্র দুটিতে জয়লাভ করা কেকেআর এখন ২০২১ আইপিএলের ফাইনালে। আগামী শুক্রবার মুখোমুখি হতে চলেছে চেন্নাই সুপার কিংসের।

নাইটদের এই অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে দলের মেন্টর ডেভিড হাসি প্রধানত অবদান দেখছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ারের এবং আইয়ারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। হাসি বলেছেন, “ভেঙ্কটেশ আইয়ার ভিন্ন জাতের ক্রিকেটার। ভালো উচ্চতা আছে এবং ওকে দেখে আমার অনেকটা স্টিফেন ফেমিংয়ের মতো লাগে। ওর ভবিষ্যত খুবই উজ্জ্বল।”

ম্যাককালাম প্রসঙ্গে হাসির প্রশংসা উপচে পড়েছে। কিউই কোচকে নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “অনেকেই জানেন না ম্যাককালাম দলটাকে নিয়ে কতটা কাজ করেছে এবং কী কী করেছে। যা করেছে তা অভাবনীয়। আমরা লিগ টেবলের সপ্তম স্থানে ছিলাম এবং খুব একটা ভালো খেলছিলাম না। কিন্তু ম্যাককালাম পুরো ব্যাপারটা একা হাতে ঘুরিয়ে দেয়। দলকে যেন নতুন একটা প্রাণ দান করে। সবাইকে উজ্জীবিত করে তোলে। এখন প্রত্যেকেই খুশি, সবাই হাসছে এবং এর পুরো কৃতিত্ব ম্যাককালামের প্রাপ্য। আই জানি ম্যাককালাম এরকম কিছুই চাইবে না কারণ সে খুবই ভদ্র একজন মানুষ, কিন্তু আইপিএলে এখনো অবধি সে যা করেছে তাতে আমাদের দিক থেকে অবশ্যই কৃতিত্ব দেওয়া উচিত।”

আইয়ারের সাথে সাথে গিলেরও প্রশংসা হাসির মুখে। দ্বিতীয় পর্বে আইয়ার কেকেআরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। গতকাল দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে ৪১ বলে ৫৫ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসও উপহার দেন তিনি। তাঁর সামনে শুবমান গিল ছিলেন অনেকটাই নীরব। কিন্তু নিঃশব্দেই কাজের কাজটা করে যাচ্ছেন গিল।

গিল ভারতের হয়ে ১০ বছর খেলবে 

গিল প্রসঙ্গে হাসি বলেছেন, “এখন সবাই বলছে গিলের যা প্রতিভা তাতে ভারতের হয়ে সব ফর্ম্যাটে গিল ১০ বছর ধরে খেলবে। খেলাটাকে এতোটাই সহজভাবে গিল খেলে যে দেখে মনে হয় খুবই অনায়াস ভঙ্গিতে ব্যাটিং করছে। প্রথম বলে যে কভার ড্রাইভটা মারল সেটা চখের জন্য এতোটা আরামদায়ক যে কী বলব। ভিন্ন জাতের ক্রিকেটার গিল, খুবই বুদ্ধিমান। ভবিষ্যতে যাতে আরো উন্নত হতে পারে সেই দিকে তাকিয়ে থাকব আমি।”

দলের মিডল অর্ডার রানের মধ্যে না থাকলেও চিন্তিত নন হাসি। তিনি বলেছেন, “আমি এই ব্যাপারে বিশেষ দুশ্চিন্তায় নেই। প্রত্যকেই বড় ক্রিকেটার। সবাই জানে কীভাবে খেলতে হয়। কঠিন পিচ, তাই রান করতে অসুবিধা হচ্ছে। ২০০ স্ট্রাইক রেটে রান করার মতো পরিস্থিতি নেই, চেষ্টা করতে হবে যাতে ১১০-১২০ স্ট্রাইক রেটে রান করে ওরা ফর্মে ফিরতে পারে। মর্গ্যান, কার্তিক, শাকিব প্রত্যেকের প্রতিই আমাদের অগাধ আস্থা আছে।”

আন্দ্রে রাসেল আদৌ ফাইনালের আগে সুস্থ হতে পারবেন কি না সেই নিয়েও মত ব্যক্ত করেছেন হাসি। সেই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “রাসেল ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে। ম্যাচের আগে অল্পবিস্তর বোলিং করছে। আশা করি ফাইনালের আগে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে। দলের মেডিকাল টিম খুবই পেশাদার ও যোগ্য এবং তাঁদের সহায়তাই রাসেল হয়তো ফাইনালে নামার জন্য তৈরী হয়ে যাবে।”