পাকিস্তান সবসময় বিশ্বমানের ফাস্ট বোলার তৈরি করেছে। বর্তমানে শাহীন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ এবং নাসিম শাহ তাদের ফাস্ট বোলিং বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মহম্মদ রিজওয়ানের মতো অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটারও পাকিস্তান দলে রয়েছে। এছাড়াও বাবর আজম এবং ইমাম-উল-হকের মতো খেলোয়াড়রা রয়েছেন, ওডিআই ক্রিকেটে যাদের গড় ৫০-এর বেশি। শাদাব খান এবং মোহাম্মদ নওয়াজের মতো ভালো অলরাউন্ডারদেরও তারা পেয়েছেন।
২রা সেপ্টেম্বর, শনিবার, ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত এবং পাকিস্তান একে অপরের মুখোমুখি হবে। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার আবদুল রাজ্জাক এই ম্যাচের আগে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন।
জিইও সুপারকে আবদুল রাজ্জাক বলেন, “দেখুন, বর্তমান পাকিস্তান একাদশ ভালো ভারসাম্যপূর্ণ। মিডল অর্ডারে আপনার কাছে উপযুক্ত ব্যাটার এবং অলরাউন্ডাররা আছে। পেস এবং স্পিন আক্রমণে আপনার পূর্ণ শক্তি আছে। আপনার সবকিছু আছে। আপনার একই দল রাখা উচিত, এটাই সেরা সমন্বয়। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ হারলেও আপনার বর্তমান দল পরিবর্তন করা উচিত হবে না। এটি আমাদের সেরা দল।”
২০২৩ সালে ওডিআইতে খুব ভালো ফর্মের সাথে খেলেছে পাকিস্তান
এই বছরে ওডিআই ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত খুব ভালো পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেছে পাকিস্তান। বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল মোট ১২টি ম্যাচ খেলেছে এবং এর মধ্যে তারা ৯টি ম্যাচে জয় পেয়েছে এবং ৩টি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। তাদের ৫টি জয় নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এসেছে। বাকি ৪টি জয়ের মধ্যে ৩টি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এসেছে এবং ১টি এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে এসেছে।
জানুয়ারি মাসে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলেছিল পাকিস্তান। এই সিরিজটি ঘরের মাঠে খেলেছিল পাকিস্তান। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে জয় পেয়েছিল বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল। এরপর টানা দুটি ম্যাচে পাকিস্তানকে পরাজিত করে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড।
এপ্রিল মাসে আবার ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ খেলেছিল পাকিস্তান। এই পাঁচ ম্যাচের সিরিজটিতে নিউ জিল্যান্ডের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় অনুপস্থিত ছিলেন। কারণ তারা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৩-এ খেলার অনুমতি পেয়েছিল। এই সিরিজটি ৪-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর শ্রীলঙ্কায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলেছিল বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল। এই সিরিজটি ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান। এশিয়া কাপে শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেছে পাকিস্তান। প্ৰথম ম্যাচে নেপালকে তারা ২৩৮ রানে পরাজিত করেছে। ভারতের বিরুদ্ধে তারা কেমন পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
