প্রত্যাশার থেকেও বেশী হয়েছে, মনে করছেন লোকেশ রাহুল

KL Rahul
KL Rahul. (Photo Source: Twitter)

ওডিআই বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই ওডিআই সিরিজ দিয়েই ফের দেশের জার্সিতে নেমেছেন লোকেশ রাহুল। তাও আবার অধিনায়কের দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে।  দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বেই এদিন নেমেছিল ভারতীয় দল। সেখানেই দুরন্ত পারফরম্যান্স প্রদ্রশন করেছে টিম ইন্ডিয়া। কার্যত প্রোটিয়া বাহিনীকে খরকুটোর মতো উড়িয়ে যাত্রা শুরু করেছে ভারতীয় দল। এমন জয়ের পর উচ্ছ্বসিত লোকেশ রাহুল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়টা যে এভাবে আসতে পরে তা নাকি তিনিও ভাবতে পারেননি।

এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিধ্বংসী বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন অর্শদীপ সিং এবং আভেশ খান। আর তাতেই কার্যত প্রোটিয়া বাহিনীর ব্যাটিং লাইনআপ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এই দুই বোলারের সামনেই মাথা নত করতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার তাবড় তাবড় তারকা ক্রিকেটারদের। একাি এদিন ৫ উপইকেট তুলে নিয়েছিলেন অর্শদীপ সিং। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন আরেক তরুণ রপেসার আভেশ খান। তাঁর ঝুলিতেও গিয়েছে চার উইকেট। এমনটা হবে ভাবতে পারেননি লোকেশ রাহুল।

প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পিঙ্ক ওডিআইতে হারিয়েছেন লোকেশ রাহুল

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্পিনই কাজে লাগবে বলে ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু হয়েছে সম্পূর্ণ উল্টো ঘটনা। দলের জয়ে যে লোকেশ রাহুল অত্যন্ত খুশি তা বলাই বাহুল্য। সেইসঙ্গে এমনভাবে যে তারা জিতে যেতে পারে সেটাও নাকি ভাবতে পারেননি লোকেশ রাহুল।

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল জানিয়েছেন, “এমনভাবে জিততে পেরে আমি সত্যিই খুব খুশি। যেমনটা প্রত্যাশা করেছিলাম তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়েছে। আসল পরিকল্পনা ছিল স্পিনারদের এই ম্যাচে নিয়ে আসার। দলের ছেলেরা সত্যিই ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। প্রত্যেকেই যথেষ্ট শৃঙ্খল ছিল। এখানে বলেরও মুভমেন্ট ছিল। এই মুহূর্তে যেকনোো একটি ফর্ম্যাটকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এখনের জন্য সেটি হল টেস্ট এবং টি টোয়েন্টি”।

এদিন টপ অর্ডার থেকে লোয়ার মি়ডল অর্ডার, এই দুই বোলারের সামনেই শেষ হয়ে গয়েছিল। একাই এদিন ৩৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অর্শদীপ সিং। সেখানেই তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন আভেশ খানও। ৮ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার। আর তাতেই আপ্লুত হয়েছেন সকলে।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৬ রানে শেষ করে দিয়েছিল ভারতীয় দল। বারতের সামনে তখন সহজ লক্ষ্য জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ১১৭ রান। তবে এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। অভিষেক ম্যাচেই অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন সাই সুদর্শন। ৫৫ রানে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। সেইসঙ্গে শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটেও এসেছে অর্ধশতরানের ইনিংস। তাঁর ইনিংস থেমেছে ৫২ রানে।