জীবনের শেষ ওডিআইতে ডারহামের জনতার অভিবাদনে আবেগপূর্ণ বিদায় স্টোকসের

শেষ ম্যাচে স্টোকস মাত্র ৫ রানে আউট হন

Ben Stokes
Ben Stokes. (Photo Source: Twitter)

ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস বছরের পর বছর ধরে ইংল্যান্ডের ওডিআই দলের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন এবং মঙ্গলবার ডারহামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাঁর শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১১ বছরের দীর্ঘ ওডিআই কেরিয়ারে ইতি টেনেছেন। তিনটি ফর্ম্যাট জুড়ে খেলা তাঁর পক্ষে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ছিল তা প্রকাশ করে ৩১ বছর বয়সী ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে ইংল্যান্ডের হয়ে ভবিষ্যতে প্রতিনিধিত্ব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ইংল্যান্ডকে প্রথমে বোলিং করতে পাঠায় এবং বল হাতে স্টোকস তাঁর শেষ ওডিআইতে ভালো পারফর্ম করেননি। ৫ ওভার বোলিং করে স্টোকস ৫ ওভারে ৪৪ রান দেন এবং একটিও উইকেট পাননি। আশা করা হয়েছিল তিনি হয়তো ব্যাট হাতে ছাপ ফেলতে পারবেন।

তবে সেটিও সম্ভব হয়নি কারণ স্টোকস তাঁর শেষ ওডিআই ম্যাচে ১১ বলে মাত্র পাঁচ রানে আউট হন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৭১ রানে। এইডেন মার্করামের বলে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে এলনিডাব্লিউ আউট হওয়া স্টোকস যখন শেষবারের মতো ইংল্যান্ডের ওডিআই খেলোয়াড় হিসেবে মাঠ ছাড়ছিলেন তখন ডারহামের চেস্টার-লে-স্ট্রিটের রিভারসাইড গ্রাউন্ডের দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়ে অলরাউন্ডারের জন্য হাততালি দেন এবং স্টোকস ব্যাট তুলে সেই অভিবাদন গ্রহণ করেন।

ইংল্যান্ড ক্রিকেটের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় যেখানে মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমে স্টোকসের হেঁটে যাওয়ার মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দী করা হয়েছিল এবং ধারাভাষ্যকারদের মাইকে বলতে শোনা যায়: “ইংলিশ ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে একটি বিশাল মুহূর্ত। শেষবারের মতো আমরা একদিনের আন্তর্জাতিকে বেন স্টোকসকে দেখতে পেলাম। বিশ্বকাপ (২০১৯) ফাইনালে তিনি যে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন তার জন্য তিনি সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এবং তিনি তাঁর স্থানীয় জনতার উচ্ছ্বসিত করতালিতে চলে যাচ্ছেন। তাঁর শেষ ওয়ানডেতে নিজের ঘরের মাঠে বেন স্টোকসের জন্য অপরিসীম অভিবাদন।”

২০১৯ ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে স্টোকসের ইনিংস অন্যতম তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় অবদান

প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ওডিআই কেরিয়ার শেষ করা স্টোকস ১০৫টি ম্যাচে ২৯২৪ রান করেছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর অপরাজিত ৮৪ রান সেই কেরিয়ারের অন্যতম প্রধান ইনিংস হিসেবে থেকে যাবে। লর্ড’সে নাটকীয় রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ড প্রথমবারের জন্য ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং এই অলরাউন্ডারকে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত করা হয়েছিল।