হেড, কামিন্সের দাপটে ৩ দিনেই টেস্ট জয়, ৪-০-এ অ্যাশেজ অস্ট্রেলিয়ার

Australia vs England
Australia vs England. (Photo by Robert Cianflone/Getty Images)

শুরুটা করেছিলেন ট্রেভিস হেড। আর হোবার্টসে শেষটা করলেন অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। বছরের শুরুতে অজি ক্রিকেট সমর্খকদের জন্য এতভাল নিউ ইয়ার গিফট বোধহয় আর হয়না। শেষ টেস্টেও বিধ্বস্ত ব্রিটিশরা। হোবার্টসে হেড ও কামিন্সের দাপটে মাত্র তিন দিনেই ম্যাচ জয় অস্ট্রেলিয়ার। ৪-০-এ সিরিজ জিতে নিল ব্যাগি গ্রীনরা। বছরের শুরুটা এক ঐতিহাসিক জয় দিয়েই করল অস্ট্রেলিয়া। দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ম্যাচ তো বটেই, সিরিজেরও সেরার শিরোপা নিজের মাথায় তুলে নিলেন ট্রেভিস হেড। গোটা সিরিজে ৩৫৭ রান করেন হেড।

চতুর্থ ম্যাচে জয়ের সামনে থাকলেও শেষ মুহূর্তে ব্রডদের লড়াইটা অজিদের হতাশ করেছিল। অ্যাশেজের শেষ টেস্টে যেন তারই মধুর প্রতিশোধ নিল অজি বাহিনী। ম্যাচের প্রথম দিনের দুটো সেশন বাদ দিলে গোটা টেস্ট জুড়ে শুধুই দেখা গেল অস্ট্রেলিয়ার শাসন। আর সেখানে অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কিছুই করার নেই ব্রিটিশদেরও। শেষ টেস্টে ১৪৬ রানে হেরে গেল ইংল্যান্ড।

সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে। শেষ দুটো টেস্ট জিতে সম্মান বজায় রাখতে চেয়েছিলেন জো রুটরা। চতুর্থ ম্যাচে ব্রডদের হাত ধরে যদিওবা তা হয়েছিল, শেষ ম্যাচে ফের একটা বিশ্রী হার দেখতে হল তাদের। করোনা সারিয়ে এই ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া শিবিরে ফিরেছিলেন ট্রেভিস হেড। আর দলে ফিরেই ফের ম্যাচের নায়ক তিনি। প্রথম দিন অজি ব্যাটিং লাইনআপের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে শতরান করে দলকে লড়াইয়ে ফিরেছিল। ১০১ রনের ইনিংস খেলে তিনিই অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ভিতটা মজবুত করে দিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থেমেছিল ৩০৩ রানে।

গোটা সিরিজে ৩৫৭ রান করে সিরিজের সেরা ট্রেভিস হেড

প্রথম দিন থেকেই হোবার্টের পিচে ছিল বোলারদের দাপট। দিন যত এগিয়েছে ততই পিচ হয়ে উঠেছে বোলিং সহায়ক। বল হাতে শুরু থেকেই ভয়ঙ্কর মেজাজে ছিলেন প্যাট কামিন্স। সঙ্গে প্রথম ইনিংসে যোগ্য সঙ্গত দেন বোলান্ড, গ্রীনরা। মাত্র ১৮৮ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। বড় রানের লিড নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া।

কিন্তু ব্রিটিশ বোলারদের বোলিংয়ের সামনেও অজি ব্যাটাররা বেশীক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি। ১৫৫ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে রয়েছে প্রায় আড়াই দিন সময়। ব্রিটিশদের লক্ষ্য ২৭০ রান। হয়ত প্রথম টেস্ট জয়ের এটাই চিল সবচেয়ে বড় সুযোগ। কিন্তু স্টার্ট, কামিন্সদের দাপটে সেই স্বপ্ন আর বাস্তবায়িত করতে পারেননি ইংল্যান্ড ব্যাটাররা।

কামিন্সের আগুনে পেসে বিধ্বস্ত হয়ে সাজঘরে ফিরে যান রুট,  মালান, ক্রলিদের মতো ব্রিটিশ তারকারা। একইরকমভাবে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন স্টার্কও। তিনিও নেন ৩ উইকেট। আর কামিন্সের শিকার ৪ উইকেট। দু ইনিংস মিলিয়ে কামিন্স নেন ৭ উইকেট। মাত্র তিন দিনেই ম্যাচ শেষ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। বছরের শুরুতেই অ্যাশেজ কামিন্স, স্টিভ স্মিথদের পকেটে।