আইপিএল ২০২১ঃ দিল্লী ক্যাপিটালসের সাফল্যের পিছনে প্রধান ৩টি কারণ

দিল্লী ক্যাপিটালসের ধারাবাহিক সাফল্যের কারণ অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ

Delhi Capitals
Delhi Capitals. (Photo Source: IPL/BCCI)

বিগত কয়েক মরসুম ধরে যে দলটি সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে সেটি হল দিল্লী ক্যাপিটালস। গত বছর প্রথম বারের জন্য ফাইনালে পৌঁছয় তারা। ট্রফি না জিতলেও তাদের পারফর্ম্যান্স প্রশংসনীয় ছিল। এই বছর চোটের কারণে শ্রেয়স আইয়ার প্রথম পর্বে ছিটকে যাওয়ার পরেও সেই ধাক্কা ভালোভাবেই সামলিয়েছে দিল্লী। অধিনায়ক ঋষভ পান্থ ও কোচ রিকি পন্টিংয়ের অধীনস্থ এই দল এবারের লিগ পর্যায় শেষ করছে প্রথম স্থানে। 

তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার সুন্দর মিশেল ঘটিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। একদিকে যেমন আবেশ খান, ঋষভ পান্থ, পৃথ্বী শ-এর মতো তরুণরা সুযোগ পাচ্ছেন, অন্যদিকে তেমনই কাগিসো রাবাডা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শিখর ধাওয়ানের মতো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ক্রিকেটাররা তরুণদের সাহায্য করে তাঁদের দিশা দেখাতে পারছেন। 

ভারতীয় ও বিদেশিদের মেলবন্ধনও দলের সাফল্যের পিছনে অন্যতম কারণ। রাবাডা, নর্কিয়াদের মতো বড় পেসারদের সাথে খেলে নজর কাড়ছেন তরুণ ভারতীয় পেসার আবেশ খান। স্টিভ স্মিথের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের থেকে ব্যাটিংয়ের খূঁটিনাটি জানার সুযোগ পাচ্ছেন পৃথ্বী শ। 

দিল্লী ক্যাপিটালসের এই সাফল্য কী কী কারণে

#৩ দল নির্বাচনে ধারাবাহিকতা

দন নির্বাচনের ব্যাপারে এই আইপিএলের অন্যতম ধারাবাহিক দল দিল্লী। যাঁদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাঁদেরকে টানা অনেকগুলি ম্যাচ খেলানো হয়েছে। ক্রিকেটারদের দেখে কখনোই মনে হয়নি দলে কার কী ভূমিকা সেই নিয়ে তাঁরা ভ্রান্ত। ফলে একটি নির্দিষ্ট ছন্দে তাঁরা পারফর্ম করতে পেরেছেন।

দুই-একটা ম্যাচ খারাপ গেলেও যেহেতু বাদ পড়ার সম্ভাবনা কম তাই ক্রিকেটাররা অনেক খোলা মনে খেলতে পেরেছেন। ফলে ক্রিকেটারদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো হয়েছে এবং মাঠে ধারাবাহিক পারফর্ম্যান্স সম্ভব হয়েছে।

#২ ভারতীয়দের সাফল্য

উৎকৃষ্ট মানের ভারতীয় ক্রিকেটারদের পিছনে তাঁরা এতো বেশি বিনিয়োগ করেছেন যে অনেক ম্যাচে তাঁদের ৪ বিদেশী না খেলালেও ম্যাচ জিততে অসুবিধা হয়নি। দলে ভাল ভারতীয়ের আধিক্যের কারণে অজিঙ্ক রাহানে, ইশান্ত শর্মা, অমিত মিশ্রর মতো বর্ষীয়ানরাও সুযোগ পাচ্ছেন না। 

ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করে চলেছেন শিখর ধাওয়ান, পৃথ্বী শ, অক্ষর পাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, আবেশ খান, ঋষভ পান্থ, শ্রেয়স আইয়াররা। দরকারের সময় ললিত যাদবের মতো অনামীরাও খেলে দিয়েছেন।

#১ আবেশ-অক্ষর-অশ্বিনের ত্রিমুখী আক্রমণ

এই মরসুমের অন্যতম আবিষ্কার বলা যেতে পারে আবেশ খানকে। ইশান্ত শর্মার মতো বর্ষীয়ান পেসারকে দলের বাইরে যেতে হয়েছে তাঁর সাফল্যের কারণে। ১৫.৯ গড় ও ৭.১৪ ইকোনমি রেট নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই ১৩ ম্যাচে তুলেছেন ২২টি উইকেট। পার্পল ক্যাপের দৌড়ে তিনি এখন দ্বিতীয় স্থানে। 

ভারতের জাতীয় দলের দুই স্পিনার অক্ষর পাটেল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন মিডল ওভারে এসে রান চেপে দিচ্ছেন বলে ডেথ ওভারে গিয়ে কাজটা সহজ হয়ে যাচ্ছে পেসারদের। অক্ষরের ইকোনমি রেট ৬.০৫ ও অশ্বিনের ৭.২৪। এই দুই স্পিনার ব্যাটিংটাও ঠিকঠাক করে দেন বলে মার্কাস স্টোইনিসের অনুপস্থিতি দল কখনোই টের পায়নি।