আইপিএল বা বিবিএল নয়, স্টার্কের মূল ফোকাস অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে সামনে রাখা

২০১৫তে শেষবার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলেছিলেন স্টার্ক

Mitchell Starc. (Photo by Daniel Kalisz/Getty Images)

প্রায় নিজের ইচ্ছামতো ইয়র্কার বোলিং করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক গত কয়েক বছরে তাঁর দলের জন্য একজন ম্যাচ-উইনার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়ায়ড়ও নির্বাচিত হয়েছিলেন স্টার্ক। ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি যখন তিনি তাঁর কেরিয়ারের শীর্ষে ছিলেন, এবং তখন থেকেই তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে কম গুরুত্ব দিতেন।

Advertisement
Advertisement

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এবং বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) থেকে লোভনীয় চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া থেকে স্টার্ক বঞ্চিত হলেও তাঁর কোন অনুশোচনা নেই। লম্বা পেসার বছরের পর বছর এই ধরণের লিগ থেকে নিজের দূরত্ব বজায় রেখেছেন। বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এই বছরের শুরুতে আইপিএল ২০২২ মেগা নিলাম থেকে নাম প্রত্যাহার করেছিলেন বিবিএল ১২ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি: মিচেল স্টার্ক

ইএসপিএনক্রিকইনফো স্টার্ককে উদ্ধৃত করে বলেছে, “যখন আমি বিবিএল খেলেছি আমি সবসময়ই উপভোগ করেছি… কিন্তু গত সাত বছরে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়নি। “আইপিএল, বিবিএলের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি, আমি অস্ট্রেলিয়ার সময়সূচী দেখেছি এবং আমি যতটা পারি তাদের হয়ে ফিট থাকতে চাই এবং ভালো পারফর্ম করতে চাই। তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট পিছনের সারিতে চলে গেছে।”

“পরবর্তী ১৮ মাসের সময়সূচী অভাবনীয়। আমি সবসময় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে সামনে রাখব, তারপর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। আমি বাড়িতে সময় কাটাতে এবং আমার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি (অস্ট্রেলিয়ান মহিলা দলের উইকেটকিপার-ব্যাটার অ্যালিসা হিলি),” স্টার্ক যোগ করেছেন।

সব ফর্ম্যাটের দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় রয়েছেন এই পেসার। তিনি গলে প্রথম টেস্টে মাত্র একটি উইকেট নিয়েছিলেন যেখানে সফরকারীরা ১০ উইকেটে জিতেছে। একই কেন্দ্রে ৮ই জুলাই অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় টেস্ট।

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে স্টার্কের অংশগ্রহণের বিষয়ে বললে, তিনি সর্বশেষ বিবিএল খেলেছিলেন ২০১৪-১৫ মরসুমে যখন তিনি সিডনি সিক্সার্সের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। আইপিএলে সিনিয়র পেসার ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছিলেন।

২০১৮ সালে স্টার্ককে কলকাতা নাইট রাইডার্স কিনেছিল কিন্তু একটি চোট পাওয়ায় টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এর মধ্যে, তিনি একেবারে শেষ মুহূর্তে তার মন পরিবর্তন করার আগে নগদ সমৃদ্ধ টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।