ব্যাঙ্গাত্মক টুইট করে ওয়াসিম জাফর আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেন

এর আগে আকাশ চোপড়াও আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছিলেন

Wasim Jaffer
Wasim Jaffer. (Photo by Aniruddha Chowdhury/Mint via Getty Images)

কানপুরের গ্রিন পার্কে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে প্রথম টেস্টে আম্পায়ার নীতিন মেনন এবং বীরেন্দ্র শর্মা কয়েকটি চোখে পড়ার মতো ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফর চতুর্থ দিনের সকালের সেশনে তাঁদের ভুলগুলিকে লক্ষ্য করে একটি ব্যাঙ্গাত্মক টুইট করেছেন। সাধারণত ক্রিকেটারদের দেখা যায় সমর্থকদের বা প্রাক্তনদের রোষের মুখে পড়তে, কিন্তু এক্ষেত্রে ম্যাচের আম্পায়াররা সমালোচনার মুখে পড়লেন। 

তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে জাফর টুইট করে দেখিয়েছেন যে চলমান টেস্টে ব্যাটসম্যান এবং বোলাররা আম্পায়ারের খারাপ পারফরম্যান্স বিবেচনা করে কীভাবে ডিআরএস নেওয়ার দিকে ঝুঁকছে।  

টুইটারে একটি মহাভারত মিম শেয়ার করে ওয়াসিম জাফর লিখেছেন:

“আম্পায়ার আঙুল তুলছেন/তুলছেন না: #INDvNZ।”

জাফরের ব্যাঙ্গাত্মক টুইট:

ঘটনাচক্রে, নিতিন মেনন এবং বীরেন্দ্র শর্মা উভয়েই বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খেলোয়াড়দের বেশ কয়েকবার আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট দেখিয়েছে। দুটি দলই অনেকবার আম্পায়ারদের রায়কে চ্যালেঙ্ক জানিয়ে ডিআরএসের অবলম্বন করেছে। নিউজিল্যান্ডের ওপেনার টম ল্যাথামকে তিন বার অনফিল্ড আম্পায়াররা আউট দিয়েছিলেন। তিনবারই ডিআরএস নিয়ে ল্যাথাম ক্রিজে টিকে থাকেন। 

ওয়াসিম জাফরের আগে আকাশ চোপড়াও প্রথম দিনের খেলা শেষে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার খেলার মান ধরে রাখতে নিরপেক্ষ আম্পায়ার থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

আকাশ চোপড়া বলেছেন, “আম্পায়ারিংয়ের গুণমানের সাথে আপস করা হচ্ছে যা প্রশ্ন উত্থাপন করে যে যদি দলগুলি ভ্রমণ করতে পারে এবং বায়ো-বাবলে থাকতে পারে তবে আম্পায়াররা কেন পারবে না। শুধু খেলার পবিত্রতার জন্য নিরপেক্ষ আম্পায়ার প্রয়োজন,” আকাশ চোপড়া তাঁর ইউটিউব চ্যানেল এই বিষয়ে বলেছিলেন। 

২০২০ সালে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর থেকে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং বায়ো-বাবল ব্যবস্থার কারণে আইসিসি আয়োজক দেশের আম্পায়ারদের ব্যবহার করছে। কিন্তু এর ফলে সব সময় উচ্চ মানের আম্পায়ার পাওয়া যাচ্ছে না। কোভিডের আগে টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় দুই দশক ধরে নিরপেক্ষ দেশের আম্পায়ারদেরই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছিল। 

খেলার কথা বলতে গেলে, চতুর্থ দিনের সকালের সেশনে নিউজিল্যান্ডের পেসাররা বল হাতে ঘাতক হয়ে উঠেছিল। ভারত বর্তমানে একটি উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। প্রতিবেদনটি লেখার সময়ে ভারত ১৩০/৬, লিড ১৭৯। জেমিসনের ঝুলিতে তিন ও সাউদির দখলে দুই উইকেট।