ওয়ার্নার নিজের ক্যারিয়ারের অন্তিম টেস্টটি লর্ডসে খেলে অবসর নিতে চেয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, লর্ডসে রান করতে না পারলে অ্যাশেজের সময় অবসর নিতেন। যদিও তিনি সিডনিতে টেস্ট খেলার বিষয়েও আবেগপ্রবণ ছিলেন।
Advertisement
Advertisement
অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তী তারকা ওপেনার জানান, তিনি রান না করলে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের পরেই অবসর গ্রহণের কথা ভেবেছিলেন। ইংল্যান্ড সফরের শুরুতে ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে ডেভিড ওয়ার্নার এই সপ্তাহের সিডনি টেস্টে অবসর নেওয়ার ব্যাপারে উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় স্বীকৃত ফর্ম এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকরাও প্রাথমিকভাবে লর্ডসে ইজবাস স্টনে প্রথম দুটি টেস্টের জন্য অ্যাশেজ স্কোয়াডে তাঁর নাম ঘোষণা করেছিলেন।
বর্তমানে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাঁর শেষ টেস্টের প্রাক্কালে তিনি বিশদভাবে জানিয়েছেন যে কিভাবে লর্ডস তাঁর জীবনের অন্যতম মাইলস্টোন হতে পারতো। তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, ‘ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এর আগে ইংল্যান্ডে থাকাকালীন আমি বেশ পরিষ্কারভাবে আমার ক্যারিয়ার ও আমার ফর্ম নিয়ে জানিয়েছিলাম। সব বাধা মুছে ফেলে আমি চেয়েছিলাম যে আদর্শ প্রস্তুতি শেষ করে সিডনিতে খেলতে নামতে হবে।’ তিনি পরে আরও যোগ করেন, ‘ আমি আসলে লর্ডসকে শেষ টেস্টের স্থান হিসাবে বাছতে চেয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমি খোয়াজার সাথে পার্টনারশিপ তৈরি করে ভালো ইনিংস খেলেছি। আমার কাছে তেমন সেঞ্চুরি ছিল না কিন্তু সব সময় চেয়েছিলাম দলের জন্য পারফর্ম করতে। দল হিসেবে তাই সামগ্রিকভাবে আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আমরা সিরিজ জিতেছি। কিন্তু ৩-০তে জিতে এখানে এসসিজিতে হোয়াইটওয়াশ করা দলের জন্য একটি দুর্দান্ত দৃষ্টান্ত হবে।’
এছাড়াও এ বছরের বিভিন্ন ইভেন্টে খেলার কথা তিনি উল্লেখ করেন।
ওভালে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম দিনে ওয়ার্নার দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
ওই ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও প্রথম দুই অ্যাশেজ টেস্ট জুড়ে, তিনি উসমান খোয়াজার সাথে মিলিতভাবে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি সম্পন্ন করেন। এছাড়াও ওভারে সিরিজের শেষ ম্যাচে খোয়াজার সাথে ১৪০ রানের পার্টনারশিপ তৈরী করেন। পার্থের প্রথম টেস্টে ওয়ার্নার পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৪ রান করে নিজের ঘরোয়া মরসুম শুরু করেন। ওয়ার্নার জানান, তার যোগ্যতা নিয়ে কখনোই সন্দেহ ছিল না নিজের মধ্যে। তবু তিনি দলের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন। আগামীতে দলের স্বার্থেও তিনি সবসময় লড়তে প্রস্তুত।