“বিরাট কোহলির ক্যারিয়ার তরুণদের জন্য একটি রোডম্যাপ, তিনি নিজের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান” – সালমান বাট

Virat Kohli
Virat Kohli. (Photo Source: Twitter)

পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার সালমান বাট বিরাট কোহলির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন যে তরুণদের তাকে দেখে শেখা উচিত। তিনি কোহলির ফিটনেসের কথাও উল্লেখ করেছেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে তিনি বেশ ভালো ফর্মের প্রদর্শন করেছেন। প্ৰথম ম্যাচে তিনি ৭৬ রান করেছিলেন। এরপর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংস এবং নিজের ৫০০ তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১২১ রান করেন তিনি।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলের একটি ভিডিওতে সালমান বাট বলেন, “বিরাট কোহলির ফিটনেসের প্রশংসা করতেই হয়, তিনি এখনও অনেকদিন খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। তিনি রান করছেন এবং তিনি শুধু ফিট নন, তিনি বিশ্বের অন্যতম ফিট খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। তিনি সবথেকে ফিট ক্রিকেটার হতে পারেন। তিনি এমন একজন যিনি নিজের মধ্যেই একটি প্রতিষ্ঠান। তার ক্যারিয়ার তরুণদের জন্য একটি রোডম্যাপ। তার অভ্যাস, প্রতিশ্রুতি, নিষ্ঠা এবং চাপের মধ্যে উন্নতি করার ক্ষমতা দেখে তাদের শেখা উচিত, তিনি হলেন একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।”

“ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি কোনোভাবে ৩৫০ বা ৩৭৫ রান করতে সক্ষম হয়, তবেই আমরা একটি প্রতিযোগিতা দেখতে পাব” – সালমান বাট

ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটির ব্যাপারে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন সালমান বাট। ভারত প্ৰথম ইনিংসে ১২৮ ওভারে ১০ উইকেটে ৪৩৮ রান করে। বিরাট কোহলি ছাড়াও অধিনায়ক রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল, রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভালো রান পেয়েছেন। শুভমন গিল এবং অজিঙ্কা রাহানে স্কোরবোর্ডে খুব বেশি অবদান রাখতে পারেননি। ইশান কিষান ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।

দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোরবোর্ডে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান তুলতে সক্ষম হয়। তেজনারায়ণ চন্দ্রপল ৯৫ বলে ৩৩ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন। ক্রেগ ব্রেথওয়েট এবং কির্ক ম্যাকেঞ্জি যথাক্রমে ৩৭ রান এবং ১৪ রান করে ক্রিজে টিকে রয়েছেন। প্ৰথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কত রান করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

সালমান বাট বলেন, “এই সিরিজে এখনও পর্যন্ত শুধু একতরফা আধিপত্য দেখা গেছে। মনে হচ্ছে যেন ভারত একটি দুর্বল দলের বিরুদ্ধে খেলছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি কোনোভাবে ৩৫০ বা ৩৭৫ রান করতে সক্ষম হয়, তবেই আমরা একটি প্রতিযোগিতা দেখতে পাব। তবে, ভারতের বোলিং আক্রমণ খুবই শক্তিশালী। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রতিভা আছে, কিন্তু ব্যাটাররা মাঝে মাঝে খারাপ শট খেলার প্রবণতা রাখেন, যার ফলে তাদের পতন ঘটে।”