সহযোগী দেশের খেলোয়াড় হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম শতরান করলেন ইউএইয়ের আসিফ খান

Asif Khan. (Image Source: Twitter)

সংযুক্ত আরব আমিরাতের খেলোয়াড় আসিফ খান সহযোগী দেশের খেলোয়াড় হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম শতরান করলেন। কীর্তিপুরে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নেমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি দুর্দান্ত শুরু করেছিল। ইউএইয়ের অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম ৪৯ বলে ৬৩ রান করেন। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান বৃত্যা অরবিন্দও একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তিনি ১৩৮ বলে ৯৪ রান করেন। তবে ৭ নম্বরে নামা আসিফ খান সবাইকে ছাপিয়ে যান।

Advertisement
Advertisement

শুরু থেকেই খুব ভালো ব্যাটিং করছিলেন এই ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। শেষ পাঁচ ওভারে লাহোরে জন্মগ্রহণ করা এই ব্যাটার নেপালের বোলারদের নাজেহাল করে দেন। তিনি ৪২ বলে অপরাজিত ১০১ রান করেন। এই ইনিংসের মাধ্যমেই তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটি নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলেন।

আসিফ খান ক্রিজে থাকাকালীন নেপালের বোলারদের ইউএইয়ের উপরে কোনোভাবেই আধিপত্য বিস্তার করতে দেননি। তাকে বল করার সময় নেপালের বোলাররা কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। নেপালের অধিনায়ক রোহিত পাউডেল শেষমেশ অনেক বোলারদেরই ব্যবহার করেন আসিফকে থামানোর জন্য কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই সফল হয়নি। নেপালের অভিজ্ঞ বোলার সন্দীপ লামিছানেও প্রচুর রান দেন। তিনি ১০ ওভারে ৮০ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন।

নেপালের সামনে অনেক বড়ো লক্ষ্য রাখল সংযুক্ত আরব আমিরাত

আসিফ খানের ঝোড়ো ইনিংসের হাত ধরে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান তোলে সংযুক্ত আরব আমিরাত। নেপাল এই মুহূর্তে খুবই ভালো ফর্মে রয়েছে। তারা শেষ পাঁচটি ম্যাচের প্রত্যেকটিই জিতেছে। তবে ইউএইয়ের দেওয়া এতো বড়ো রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতা খুবই কঠিন।

রোহিত পাউডেলের নেতৃত্বাধীন নেপাল দলে অনেক ভালো ভালো ব্যাটসম্যানরা রয়েছেন যারা বড়ো রান তাড়া করে জেতার ক্ষমতা রাখেন। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বোলাররাও নেপালের ব্যাটসম্যানদের আটকাতে যথেষ্ট সক্ষম।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত এই ম্যাচটি জিতলে আইসিসি পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ ২-তে তাদের অবস্থানের উন্নতি হবে। তারা এই মুহূর্তে ৩৫ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্টের সাথে পয়েন্ট তালিকায় ৬ নম্বর স্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে নেপাল ৩৫ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্টের সাথে ৪ নম্বর স্থানে রয়েছে। স্কটল্যান্ড ৩৬ ম্যাচে ৫০ পয়েন্টের সাথে পয়েন্ট তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে। ওমান এবং নামিবিয়া যথাক্রমে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।