টুইটার রিঅ্যাকশনঃ ক্লোজ ম্যাচে ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ বার করলেন দ্রে রাস, ক্যাচ মিসের মাশুল গুণতে হল বাংলাদেশকে

শেষ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হত ১৩ রান

Bangladesh vs West Indies. (Photo by INDRANIL MUKHERJEE/AFP via Getty Images)

শুক্রবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচ হয়ে গেল। সম্ভবত এই টি-২০ বিশ্বকাপের সবচেয়ে টানটান উত্তেজক ম্যাচটি ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রত্যক্ষ করলেন। অনেক উত্থান-পতনের পর কায়রন পোলার্ডের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবিয়ান দল তিন রানে জয়ী হয়। এই জয়ের পর তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১-এ তাদের খাতা খুলেছে। বাংলাদেশের এই হারের পর তাদের পক্ষে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছনোর যোগ্যতা অর্জন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে গেল। 

Advertisement
Advertisement

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গতি দেয় পুরান

প্রথমে ব্যাট করতে নামার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধুঁকে ধুঁকে পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ২৯ রান করেছিল। ক্রিস গেইল ও এভিন লিউইস তাদের উইকেট হারান মাহেদি হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের বলে। শিমরন হেটমায়ারের উইকেটও তুলে নেন মাহেদি। বাংলাদেশ বোলিং ভালো করলেও বোলাররা তাদের ফিল্ডারদের থেকে সহায়তা পেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরো চাপে ফেলে অনেক কম রানে আটকাতে পারত। ক্যাচ ও স্টাম্প মিসের মাশুল গুণতে হয় টাইগারদের। 

ইনিংসের মাঝপথে কায়রন পোলার্ড ব্যাটিং থেকে অবসর নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলে নামেন আন্দ্রে রাসেল, কিন্তু তিনি একটিও বল না খেলে রান আউট হয়ে যান দুর্ভাগ্যের ফেরে।

নিকোলাস পুরান ইনিংসে গতি আনেন, একটি চার ও চারটি ছক্কায় ২২ বলে ৪০ রান করেন। চোট পাওয়া পেসার ওবেদ ম্যাককয়ের জায়গায় স্কোয়াডে আসা জেসন হোল্ডার ৫ বলে ১৫ রান করেছেন দুটি ছয়ের সাহায্যে। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাত উইকেটের বিনিময়ে ১৪২ রান করে। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুরন্ত কামব্যাক

শাকিব আল হাসানকে ওপেনিংয়ে পাঠিয়ে টাইগাররা পরীক্ষা করে যদিও ওই পরীক্ষাটি কাজে আসেনি। ১২ বলে মাত্র ৯ রান করে আউট হন তিনি। হোল্ডার নাইমকে আউট করার আগে তিনি দুটি চার মারেন। সেখান থেকে সৌম্য সরকার ও লিটন দাস বাংলাদেশের ইনিংসকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন ৩১ রানের একটি পার্টনারশিপের মাধ্যমে। আকিল হোসেইনের শিকার হওয়ার আগে সৌম্য দুটি চার মারেন। 

রবি রামপল মুশফিকুর রহিমকে বেশি বড় ইনিংস খেলতে দেননি। শেষ পাঁচ ওভারে টাইগারদের দরকার ছিল ৩০ বলে ৪৪। ক্রিজে ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এবং লিটন দাস। নিরাপদ ব্যাটিং করে তাঁরা লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। উনিশতম ওভারের শেষ বলে জেসন হোল্ডার লং অনে লিটনের অনবদ্য ক্যাচ নেন। টাইগারদের শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। আন্দ্রে রাসেল শেষ ওভার ঠাণ্ডা মাথায় বোলিং করে ক্যারিবীয়দের পক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে আনেন। মাহমুদউল্লাহ ২৪ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ।

এমন একটি উত্তেজক ম্যাচ দেখে সোশ্যাল মিডিয়া চুপ করে থাকেনি। একদিকে যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য প্রশংসা, অন্যদিকে তেমনই দেখা গেল বাংলাদেশের জন্য সমালোচনা। রইল তারই কিছু নজির।