ডাব্লুউপিএলের উদ্বোধনী মরুসুমে শিরোপা জিতল হারমানপ্রিত কউরের নেতৃত্বাধীন দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স

Mumbai Indians
Mumbai Indians. (Photo Source: Twitter/WPL)

ডাব্লুউপিএলের প্ৰথম বিজেতা হল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মেগ ল্যানিংয়ের দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে পরাজিত করল হারমানপ্রিত কউরের দল।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। শেফালী ভার্মার উইকেট হারায় তারা। তিনি ৪ বলে ১১ রান করে আউট হন। আরেক ওপেনার মেগ ল্যানিং ২৯ বলে ৩৫ রান করে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হন। টপ অর্ডারের বাকি ব্যাটসম্যানরা এবং মিডিল অর্ডার পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন। দিল্লি ক্যাপিটালসের টপ অর্ডারকে ধরাশায়ী করেন ইসি ওং। তিনি শেফালী ভার্মা, এলিস ক্যাপসি এবং জেমিমাহ রড্রিগেসকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। এলিস ২ বলে ০ রান এবং জেমিমাহ ৮ বলে ৯ রান করে আউট হন।

মারিজান ক্যাপ ২১ বলে ১৮ রান করে অ্যামেলিয়া কেরের বলে আউট হন। জেস জোনাসেন ১১ বলে মাত্র ২ রান করেন। অরুন্ধতী রেড্ডি এবং তানিয়া ভাটিয়া ০ রান এবং মিন্নু মণি ১ রান করে আউট হন। তবে শেষে শিখা পান্ডে ১৭ বলে অপরাজিত ২৭ রান এবং রাধা যাদব ১২ বলে অপরাজিত ২৭ রানের দুটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তাদের দুজনের মধ্যে ৫২ রানের পার্টনারশিপ হয়। এই পার্টনারশিপের হাত ধরেই দিল্লি ক্যাপিটালস একটি সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছয়। তারা ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩১ রান করে।

বল বাকি থাকতে ফাইনাল ম্যাচ জিতল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স

রান তাড়া করতে নেমে অনেক তাড়াতাড়ি দুই ওপেনারের উইকেট হারায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ইয়াস্তিকা ভাটিয়া এবং হেইলি ম্যাথুস যথাক্রমে ৩ বলে ৪ রান এবং ১২ বলে ১৩ রান করে আউট হন।

এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অধিনায়ক হারমানপ্রিত কউর এবং ন্যাট সাইভার-ব্রান্ট। তারা ফাইনাল ম্যাচে দলকে বিপদের মুখ থেকে সরিয়ে আনেন। হারমানপ্রিত কউর বলে ৩৯ বলে ৩৭ রান করে রান আউট হন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার। ন্যাট সাইভার-ব্রান্ট ৫৫ বলে অপরাজিত ৬০ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার। হারমানপ্রিত এবং ব্রান্টের মধ্যে ৭২ রানের পার্টনারশিপ হয়। এরপর ক্রিজে আসেন আমেলিয়া কের। শেষে তার দুরন্ত ইনিংসের হাত ধরে ফাইনাল ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তিনি ৮ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

ডাব্লুউপিএলের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে টুইটারে অনেকে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন-