রুটের অপরাজিত ১১৫-র সামনে ধরাশায়ী নিউজিল্যান্ড, সাফল্যের সঙ্গে শুরু হল স্টোকস-ম্যাককালাম যুগ

দ্বিতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে ১০০০০ রান রুটের

Joe Root
Joe Root. (Photo Source: Twitter/ECB)

ইংল্যান্ড ক্রিকেটে বেন স্টোকস-ব্রেন্ডন ম্যাককালাম যুগের সূচনা হল সন্তোষজনক একটি জয় দিয়ে। থ্রি লায়ন্স প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে পাঁচ উইকেটে পরাজিত করেছে। ওঠাপড়া লেগে থাকা টেস্ট ম্যাচটিতে তৃতীয় দিনের শেষ সেশনের আগে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছিল না কোন দল জিততে চলেছে। তবে তৃতীয় দিনের চা পানের বিরতির পর থেকে প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক রুটের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে পা বাড়ানো শুরু করে ইংল্যান্ড। ঐতিহ্যমণ্ডিত লর্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৭৭ রানের লক্ষ তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড মূলত জিতল জো রুটের অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংসের অবদানে।

একটি জটিল পিচে, ইংল্যান্ডকে ২৭৭ রানের মতো বড় স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে যায়। কিউই পেসাররা, বিশেষ করে কাইল জেমিসন, নতুন বলের দুর্দান্ত ব্যবহার করে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলছিলেন। ইংল্যান্ড তাদের চার উইকেট হারায় ৬৯ রানে। সেই সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচ হয়তো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী নিউজিল্যান্ড নিজেদের দখলে নিতে চলেছে। পঞ্চম উইকেটে প্রাক্তন অধিনায়ক রুটকে সঙ্গ দিতে আসেন বর্তমান অধিনায়ক বেন স্টোকস। ৫৪ রান করে স্টোকস যখন আউট হন তখনও ইংল্যান্ডকে ১১৮ রান করতে হত।

যুগ্ম কনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রান পূর্ণ করলেন জো রুট

সেখান থেকে রুট প্রায় একার দায়িত্বে ইংল্যান্ডকে জয়ের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। লেগ স্টাম্পের দিকে আসা প্রায় কোন বলেই রান করার সুযোগ হারাননি রুট। নিউজিল্যান্ড চতুর্থ দিনের সকালের সেশনে দ্রুত কিছু উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার আশা করেছিল, কিন্তু রুট তাদের সেই আশায় বাধা হয়ে দাঁড়ান। সাউদির বলে মিড উইকেটের দিকে বল ঠেলে দিয়ে দ্রুত দুই রান পূর্ণ করে রুট একই সঙ্গে তাঁর ২৬তম টেস্ট সেঞ্চুরি এবং ১০০০০ রান সম্পূর্ণ করেন।

অ্যালিস্টার কুকের পর দ্বিতীয় ইংরেজ হিসেবে ১০০০০ টেস্ট রান করলেন রুট। মাত্র ৩১ বছর ১৫৭ দিনে এই মাইলস্টোনে পৌঁছলেন রুট। কুকও তাঁর দশ হাজার টেস্ট রান পূর্ণ করেন একই বয়সে, ফলে টেস্টে দশ হাজার রান করে যুগ্ম কনিষ্ঠ ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন রুট। রুট যখন একদিক থেকে দ্রুত গতিতে রান করছিলেন তখন ক্রিজের অন্যদিকে উইকেটকিপার-ব্যাটার বেন ফোকস দৃঢ়তার সঙ্গে নিজের উইকেট অক্ষত রাখেন এবং তিনি অপরাজিত ৩২ রান করে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।

এর আগে ড্যারিল মিচেলের ১০৮ এবং টম ব্লান্ডেলের ৯৬ রানের সৌজন্যে নিউজিল্যান্ড একটি লড়াকু লক্ষ্য খাড়া করেছিল। যদিও তৃতীয় ইনিংসে একটা সময় নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান করেছিল এবং সেই সময় তাদের লিড ছিল ২৪২। তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ৩০০ রানের অনেক বেশী লক্ষ্য হতে চলেছে ইংল্যান্ডের জন্য। তবে স্টুয়ার্ট ব্রডের (৩/৭৬) একটি ওভারে তিনটি উইকেট পড়ে, যার মধ্যে একটি রান আউট। সেই ওভার থেকেই ইংল্যান্ডের বোলাররা ম্যাচে ফেরে এবং নিশ্চিত করে তাদের ব্যাটারদের যেন ৩০০-র বেশী রান তাড়া করতে না হয়।

ইংল্যান্ডের জয়কে কেন্দ্র করে টুইটার যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাল