৩১৭ রানের রেকর্ড ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে বিপর্যস্ত করে সিরিজ জয় ভারতের

মহম্মদ সিরাজের আগুনে বোলিংয়ে ধ্বংস লঙ্কান ব্যাটিং

Indian Team
Indian Team. (Photo Source: BCCI)

তিরুভানান্থাপুরমের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজের তৃতীয় ওডিআইতে ভারত একটি ঐতিহাসিক জয় নথিভুক্ত করেছে। তারা লঙ্কান লায়ন্সকে ৩১৭ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে, যা ওডিআইয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। এর আগে ২৯০ রানে আয়ারল্যান্ডকে হারানোর রেকর্ড ছিল নিউ জিল্যান্ডের।

এই জয় ভারতকে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ করতে সক্ষম করেছে এবং রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল দাপটের সঙ্গে সিরিজ জিতে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে। তিরুবনন্তপুরমের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং তাঁর সতীর্থ ওপেনিং সঙ্গী শুবমান গিল উদ্বোধনী উইকেটে ৯৫ রানের জুটি গড়ে ভারতকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন।

রোহিত সেরা ছন্দে থাকলেও তিনি যে সূচনা পেয়েছিলেন তা বড় স্কোরে রূপান্তর করতে পারেননি এবং ৪২ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে আউট হয়ে যান। তবে শুবমান গিল তাঁর অধিনায়কের মতো ভুল করেননি এবং যে ছন্দে শুরু করেছিলেন তা ধরে রেখে কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওডিআই সেঞ্চুরি অর্জন করেন। ৯৭ বলে ১১৬ রানের তাৎপর্যপূর্ণ ইনিংস খেলেন।

প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও অসামান্য ছন্দে দেখিয়েছে। বিগত চার ওডিআই ইনিংসে তৃতীয় শতরান করেছেন তিনি। ৮৫ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করার পরে ১১০ বলে ১৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। এই ইনিংসের ফলে ওডিআই তাঁর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর নথিবদ্ধ করেন তিনি। ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৯০ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করেছিল জোড়া সেঞ্চুরির সৌজন্যে।

সিরাজের বোলিংয়ের সামনে ছারখার শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং

জবাবে শ্রীলঙ্কার একটি দুঃস্বপ্নের সূচনা হয়েছিল। যে পিচে ভারতের ব্যাটাররা অনায়াসে রান করছিলেন সেই পিচেই মহম্মদ সিরাজের ঝাঁঝালো বোলিংয়ের সামনে কোনো উত্তর খুঁজে পাননি লঙ্কান ব্যাটাররা। সিরাজ একাই চার উইকেট নেন এবং তাঁর সেরা ওডিআই বোলিং পরিসংখ্যান (৪/৩২) অর্জন করেন। তাঁকে সতীর্থ পেসার মহম্মদ শামি যোগ্য সমর্থন যুগিয়েছেন, এবং ছয় ওভারে ২০ রান দিয়ে দুটি উইকেট লাভ করেন।

শ্রীলঙ্কান ব্যাটারদের কেউই সিরাজের চাঞ্চল্যকর স্পেলের সামনে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি এবং মধ্যে মাত্র তিনজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিলেন – নুওয়ানিদু ফার্নান্ডো (১৯), অধিনায়ক দাসুন শানাকা (১১), ও কাসুন রাজিথা (১৩*)। ভারতের ইনিংস চলাকালীন ফিল্ডিং করার সময় জেফ্রি ভ্যান্ডারসের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ায় ব্যাটিং করতে পারেননি অ্যাশেন বান্দারা।

ভারতের দাপুটে জয়ের পরে টুইটারে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া