একপেশে লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হেলায় হারিয়ে জয়ের ধারা অব্যহত দক্ষিণ আফ্রিকার

South africa beat australia
South africa beat australia. ( Photo Source: Robert Cianflone/Getty Images )

বিশ্বকাপের মঞ্চে অস্ট্রেলিয়ার হলটা কী। ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও বিশ্রী হার অস্ট্রেলিয়ার। পরিস্থিতিটা যেন ক্রমশই কটিন করে ফেলছে অজি বাহিনী। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখানেই শেষরক্ষা করতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। কার্যত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিধ্বস্ত হল অজি বাহিনী। বোলিং থেকে ব্যাটিং সব জায়গাতেই এগদিন চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কুইন্টন ডিককের সেঞ্চুরী ইনিংসটাই কাজটা করে দিয়েছিল। বল হাতে বাকি কাজটা করে দিয়েছিলেন কাগিসো রাবাডা। ১৭৭ রানেই এদিন শেষ অস্ট্রেলিয়া।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এদিন কোনও জায়গাতেই দাঁড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া শিবির। যেমন ফিল্ডিংয়ে খারাপ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে তারা। তেমনই বোলিং এবং ব্যাটিংয়েও খারাপ পারফরম্যান্স প্রদ্রশন করেছে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরের সর্বোচ্চ রান ১০৯। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার মার্নাস লাবুশানে মাত্র  ৪৬ রানই করতে পেরেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩১১ রানে রান তাড়া করেত নেমে মাত্র ১৭৭ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৩৪ রানে জয় তুলে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

১০৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হয়েছেন কুইন্টন ডিকক

টস জিতে এদিন দক্ষিণ আফ্রিকাকেই প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা ভুল ছিল তা ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের রাস্তাটা কার্যত তাঁর সেঞ্চুরী ইনিংসটাই পাকা করে দিয়েছিল। সেখানেই শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সকলে। এগদিন ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন এই কুইন্টন ডিকক। তিনি যখন মাঠ ছাড়েন সেই সময়ই দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১৯৭ রানে ৩ উইকেট।

সেই জায়গা থেকে প্রোটিয়াদের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন এডেন মার্করাম। তিনি করেছেন ৫৬ রান। সেইসঙ্গে এদিন অস্ট্রেলিয়া পাঁচটি ক্যাচ মিস করেছেন। শেষপর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১১ রান করে। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে প্রোটিয়াদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। কাগিসো রাবাডা, জশ ইঙ্গলিস ও কেশভ মহারাজদের দাপচের সামনে হার মানতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার তকরা খচিত ব্যাটিং লাইনআপকে।

সেখানে কাগিসো রাবাডা একাই তুলে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। সেরা তিন ক্রিকেটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কাগিসো রাবাডা। স্টিভ স্মিথ এবং জশ ইঙ্গলিসদের মতো ক্রিকেটারদের মাঠে বেশীক্ষণ দাঁড়াতেই দেননি তিনি। আর তাতেই কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপে পরপর দু ম্যাচ হেরে পরিস্থিতিটা অনেকটাই কটিন ফেললেন প্যাট কামিন্সরা।