রোহিত-শুভমনের সেঞ্চুরী ইনিংস এবং শার্দূল ঠাকুরের দুরন্ত স্পেলে হোয়াইট ওয়াশ সম্পূর্ণ ভারতের

India Team ( Image Source: BCCI )

রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিলের পার্টনারশিপটাই এদিন ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিয়েছিল। পাল্টা লড়াই এদিন ডেভন কনওয়ে একটা করলেও, শেষরক্ষা করতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। ৯০ রানে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় হোয়াইট ওয়াশ সম্পূর্ণ টিম ইন্ডিয়ার। সেইসঙ্গে একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসির ক্রমতালিকায় শীর্ষেও পৌঁছে গেল ভারতীয় দল। ভারতের ৩৮৫ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে এদিন ২৯৫ রানেই থেমে যেতে হয় কিউই বাহিনীকে।

Advertisement
Advertisement

ইন্দোরেই দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হয়েছে রোহিত শর্মার। বহু কাঙ্খিত সেঞ্চুরী এসেছে তাঁর ব্যাটে। সেইসঙ্গে শুভমন গিলও রয়েছেন দুরন্ত ফর্মে। আর তাদের দাপটেই যে এদিন নিউ জিল্যান্ডের হারের ভাগ্য লিখন হয়ে গিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতের দ্বিশতরানের ওপেনিং পার্টনাপরশিপটাই এদিন কিউইদের বিরুদ্ধে বিরাট রানের রাস্তাটা তৈরি করে দিয়েছিল। আর বল হাতে মোক্ষম সময়ে শার্দূল ঠাকুরের জোড়া উইকেট, ভারতকে একদিনের ক্রম তালিকায় শীর্ষস্থানটা পাকা করে দেয়।

৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরার শিরোপা শার্দূল ঠাকুরের মাথায়

টস জিতে এদিন ভারতকে প্রথম ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক। সিরিজ হাতছাড়া হয়েগেলেও শেষ জিততে মরিয়া ছিল তারা। কিন্তু নিজেদের চালে নিজেকাই পড়ে  কিউই ক্রিকেটাররা। ব্যাট হাতে শুরু থেকেই এদিন আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন রোহিত শর্মা। সেইসঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন শুভমন গিলও। দুই ক্রিকেটারের ব্যাটেই এদিন সেঞ্চুরীর ঝলক। রোহিত শর্মা করেন ১০১ রান। শুভমন গিল সাজঘরে ফেরেন ১১২ রানে। বিরাট কোহলি একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলার চেষ্টা করলেও ৩৬ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে।

সূর্যকুমার, ওয়াশিংটন সুন্দর এবং ঈশান কিষাণরাও এদিন কম রানেই সাজঘরের রাস্তা ধরেন। সেই সম. খানিকটা হলেও চিন্তা বেড়েছিল ভারতীয় দলের। সেই মুহূর্তেই ভারতীয় দলের হাল ধরেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসে ভর করেই বিরাট রানে পৌঁছয় টিম ইন্ডিয়া। তাঁর ৩৮ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৮৬ রানে পৌঁছয় ভারতীয় দল। তাতেই জয়ের রাস্তাটা কার্যত পাকা হয়ে যায় ভারতীয় দলের। এবার পরীক্ষা ছিল ভারতীয় বোলারদের সামনে।

শুরুতেই হার্দিক পান্ডিয়া এদিন ফিরিয়ে দেন ফিন অ্যালেনকে। কিন্তু ডেভন কনওয়ে একাই লড়াইটা আরম্ভ করেছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে। একটা সম. ডেভন কনওয়ের পারফর্ম।ান্স যে ভারতীয় দলের অন্দরে চিন্তাটা অনেকটাি বাড়িয়ে দিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ৭১ বলে সেঞ্চুরী করে ম্যাচের মোর ঘোরানোর পথেি হাঁটতে শুরু করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। সেই সময়ই ম্যাচের মোর ঘুরিয়ে দেন শার্দূল ঠাকুর। পরপর দুই বলে নিউ জিল্যান্ডের দুই তারকা ক্রিকেটারকে ফিরিয়ে দেন তিনি। টম ল্যাথাম এবং ড্যারিল মিচেলকে সাজঘরে ফেরানোর সঙ্গেই ম্যাচের মোর ঘুরিয়ে দেন তিনি।

।দিও ডেভন কনওয়ে তখনও ক্রিজে থেকে একটা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই লড়াইটা থামিয়ে দেন উমরান মালিক। এদিন বল হাতে একাই ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন শার্দূল ঠাকুর। তিন উইকেট পেয়েছেন কুলদীপ যাদবও।