স্পিনারদের দুরন্ত বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডকে কম রানে আটকেও লড়াই করেই জিততে হল ভারতকে

Suryakumar Yadav & Hardik Pandya
Suryakumar Yadav & Hardik Pandya. ( Image Source: Dinsey+Hotstar )

ভারতের স্পিন আক্রমণে বেসামাল নিউ জিল্যান্ড। তবুও হাড্ডহাড্ডি লড়াই করেই নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততে হল ভারতীয় দলকে। নিউ জিল্যান্ডের ৯৯ রান টপকাতে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হল ভারতীয় দলকে। অবশেষে নিউ জিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল টিম ইন্ডিয়া। ঘরের মাঠে প্রথম টি টোয়েন্টিতে ২১ রানে হেরে গিয়েছিল ভারতীয় দল।  সিরিজে টিকে থাকতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘিরে দাঁড়াতেই হত ভারতীয় দলকে। ভারতের স্পিনারদের দাপুটে বোলিংয়ে সেটাই হল এদিন। যুজবেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদব, ওয়াশিংটন সুন্দর এহং দীপক হুডাদের দাপটে ভারতের বিরুদ্ধে ১০০ রানের গন্ডীই এদিন টপকাতে পারল না নিউ জিল্যান্ড।

লখনউয়ের টার্নিং ট্র্যাকে এদিন চার স্পিনার খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেজন্য উমরান মালিকের পরিবর্তে এদিন যুজবেন্দ্র চাহাল এসেছিলেন ভারতের প্রথম একাদশে। আর সেই সিদ্ধান্ত যে একেবারেই সঠিক ছিল, তা ফিন অ্যালেনকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ভারতের স্পিনারদের আক্রমণের সামনে এদিন দাঁড়াতেই পারেননি নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটাররা। আর তাতেই সাফল্য ভারতের। বোলারদের হাক ধরেইএদিন জয়ের রাস্তাটা ভারতীয় দলের প্রশস্ত হয়ে গিয়েছিল। ব্যাট হাতে ফিনিশিং টাচটা দিয়ে দেন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং সূর্যকুমার যাদবরা।

৬ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-১-এ সমতায় ফিরল ভারতীয় দল

টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। কিন্তু লখনউয়ের পিচে শুরু থেকেই ছিল স্পিনারদের জন্য সাহায্য। সেখানেই ফিন অ্যালেনকে ১১ রানে শুরুতেই ফিরিয়ে দেন য়ুজবেন্দ্র চাহাল। এরপর একে একে ওয়াশিংটন সুন্দর, দীপকত হুডাদের দাপটে সাজঘরের রাস্তা ধরেন ডেভন কনওয়ে, গ্লেন ফিলিপস এবং মার্ক চ্যাপম্যানরা। গত ম্যাচের নায়ক ড্যারিল মিচেলকে এদিন ৮ রানেই থামিয়ে দেন কুলদীপ যাদব। আর তাতেই নিউ জিল্যান্ডেপ বড় লক্ষ্য ভেস্তে যায়।

নিউ জিল্যান্ডের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন মিচেল স্যান্টনার। তিনি শেষ পর্যন্ত থেকে ১৯ রান করতে না পারলে হয়ত আরও কম রানেই শেষ হয়ে যেত নিউ জিল্যান্ড। শেষপর্যন্ত ৯৯ রানেই থামে কিউই বাহিনী।  বল হাতে এদিন জোড়া উইকেট পেয়েছেন অর্শদীপ সিংও।  নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং শেষে ভারতের জয় তখন শদুই ছিল সময়ের অপেক্ষা।

যদিও বল হাতে নিউ জিল্যান্ড কিন্তু একেবারে শুরু থেকেই হাল ছেড়ে দেয়নি। বরং প্রথম থেকেই ভারতের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল ছিল নিউ জিল্যান্ডের। শুভমন গিল এদিনও বড় রান করতে ব্যর্থই হয়েছেন। ১১ রানেই ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও ঈশান কিষাণ এদিন আক্রমণাত্মক মেজাজেই ছিলেন। কিন্তু রাহুল ত্রিপাঠির সঙ্গে বোঝাপড়ার অভাবে শেষ১৯ রানেই থেমে যান তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে ১৩ রানে ফেরেন রাহুল ত্রিপাঠিও। সেি সময় থেকেই ম্যাচের হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব ও ওয়াশিংটন সুন্দর। আর তাদের পার্টনাারশিপটাই ভারতের ওপর থেকে চাপ কমাতে সাহায্য করে। যদিও রান আউট হতে হয় ওয়াশিংটন সুন্দরকেও।

তবে শেষপর্যন্ত এদিন ক্রিজে টিকে ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। নিউ জিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ে টিম ইন্ডিয়া।