প্রথম দিনের শেষে বিপর্যস্ত ভারত

Australia
Australia. (Photo Source: BCCI)

প্রথম দুই টেস্টে ভারত খুব সহজেই জয়লাভ করলেও তৃতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড দলে না থাকলেও নিজেদের স্পিন আক্রমণের মাধ্যমেই ভারতীয় দলের ব্যাটিংকে ধরাশায়ী করেছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাথিউ কুহনিম্যান এবং নাথান লিয়নের দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। কুহনিম্যান ৫টি এবং লিয়ন ৩টি উইকেট নিয়েছেন। টড মারফি ১টি উইকেট পেয়েছেন এবং সিরাজ রান আউট হন।

ভারতের দুই ওপেনার অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের সামনে শুরুটা ভালো করলেও স্পিনার আসার পরেই দুজনে উইকেট হারান। এরপর একের পর এক ব্যাটসম্যান আউট হতে থাকে। বিরাট কোহলি ৫২ বলে ২২ রান করেন। এটিই প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। এছাড়া শুভমন গিল ১৮ বলে ২১ এবং শেষের দিকে উমেশ যাদব ১৩ বলে ১৭ রান করেন। বাকি কেউ তেমন রান পাননি। যার ফলে ৩৩.২ ওভার ব্যাটিং করে মাত্র ১০৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। ভারতের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার স্পিন আক্রমণও যে এতোটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে সেটা রোহিত বাহিনী আগে বুঝতে পারেনি। তাই ইন্দোরের স্পিন পিচে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে ভারতের।

উসমান খাওয়াজা এবং মার্নাস ল্যাবুসেনের হাত ধরে ভালো পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া

অন্যদিকে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ট্রাভিস হেডের উইকেট হারালেও উসমান খাওয়াজা এবং মার্নাস ল্যাবুসেন অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসকে সামাল দেন। ল্যাবুসেনের উইকেট নেওয়ার সুযোগ এলেও জাদেজার নো বলের জন্য উইকেট বাতিল হয়। দুজনের মধ্যে ৯৬ রানের পার্টনারশিপ হয়। এর ফলে সহজেই ভারতের রান টপকে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। খাওয়াজা ৬০ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। স্টিভ স্মিথ এবং মার্নাস ল্যাবুসেন যথাক্রমে ৩১ ও ২৬ রান করেন। প্রথম দিনের ৪ টির মধ্যে প্রতিটি উইকেটই নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথম দিনের শেষে স্কোরবোর্ডে অস্ট্রেলিয়ার রানসংখ্যা হল ৪ উইকেটে ১৫৬ রান। এই মুহূর্তে ৪৭ রানের লিড রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যদি দ্বিতীয় দিনে ভারত তাড়াতাড়ি উইকেট না ফেলতে পারে তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সামনে রানের পাহাড় থাকবে, সেটা একদম স্পষ্ট। এই মুহূর্তে পিটার হ্যান্ডসকম্ব ৭ রান এবং ক্যামেরন গ্রিন ৬ রানের সাথে ক্রিজে রয়েছেন। দ্বিতীয় দিন ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত তাড়াতাড়ি উইকেট ফেলতে না পারলে ম্যাচ পুরোপুরি অস্ট্রেলিয়ার হাতের মুঠোয় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রথম দিনের শেষে টুইটারে অনেকে নিজের মতামত জানিয়েছেন-