একজন-দুজন নয়, মোট চার ফিল্ডারের প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ হল ক্যাচ

ঋদ্ধিমান সাহাকে আউট করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত তৎপরতা দেখালেন ট্রেন্ট বোল্ট

Wriddhiman Saha dismissal
Wriddhiman Saha dismissal. (Photo Source: IPL/BCCI)

চোটের কারণে গত ম্যাচে অনুপস্থিত থাকার পরে ট্রেন্ট বোল্ট ১৬ই এপ্রিল, রবিবার, সন্ধ্যায় আহমেদাবাদে গুজরাত টাইটান্সের বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালসের একাদশে ফিরে এসেছিলেন। কিউই বাঁ-হাতি পেসার ম্যাচে প্রভাব ফেলতে খুব বেশী সময় নেননি এবং তিনি উদ্বোধনী ওভারের তৃতীয় বলেই ঋদ্ধিমান সাহাকে আউট করেছেন। তবে, ঋদ্ধিমানের ক্যাচ নেওয়ার ক্ষেত্রে মাঠে যে দৃশ্য দেখা গেল, তা সম্ভবত এর আগে আইপিএলে দেখা যায়নি।

বোল্ট লেগ স্টাম্প লাইনে ও গুড লেংথে ডেলিভারিটি করেছিলেন যা ঋদ্ধিমান ফ্লিক করে খেলতে চেয়েছিলেন ডিপ স্কোয়্যার লেগের দিকে। তবে তিনি বলটি খেলতে তাড়াহুড়ো করে ফেলেছিলেন এবং তাঁর ব্যাটের মুখ তাড়াতাড়ি বন্ধ যাওয়ায় ব্যাটের বাইরের প্রান্তে বল লেগে উপরে উঠে গিয়েছিল।

এরপরেই দেখা যায় এক হাস্যকর দৃশ্য। উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসন ক্যাচটি নেওয়ার জন্য ছুটে আসেন এবং তিনি গ্লাভস পরিহিত হওয়ায় ক্যাচ ধরার জন্য তিনিই আদর্শ ছিলেন। তবে পয়েন্ট অঞ্চলে দাঁড়ানো ধ্রুব জুরেল ও স্কোয়্যার লেগের ফিল্ডার শিমরন হেটমায়ারও ক্যাচ ধরতে ছুটে আসেন। বলটি যখন নেমে আসে, তখন পিচের মাঝামাঝি তিন ফিল্ডারই ক্যাচটি ধরে সক্রিয়তা দেখান এবং হেটমায়ার ও স্যামসনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

শেষ পর্যন্ত বলটি স্যামসনের গ্লাভস থেকে বেরিয়ে আসে। তবে পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক ছিলেন বোল্ট। তিনি তিন ফিল্ডারের থেকে কয়েক গজ দূরে দাঁড়িয়েছিলেন এবং স্যামসনের গ্লাভস থেকে বেরিয়ে আসা বল ধরে নিয়ে ক্যাচ সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখান পেসার। ক্যাচ মিস হওয়ার লজ্জাজনক পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করার পরে বোল্ট এবং বাকী সতীর্থরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। স্যামসন ও হেটমায়ারের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও দুজনের কেউই আহত হননি।

এখানে দেখুন ভিডিও

উল্লেখ্য, প্রথম ওভারে ঋদ্ধিমানের উইকেট নিয়ে বোল্ট একটি ঈর্ষণীয় রেকর্ডে নিজের দখল আরও মজবুত করেছেন। আইপিএল ২০২০ থেকে ইনিংসের প্রথম ওভারে নিউ জিল্যান্ডের পেসার মোট ২০ উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে বোলার তাঁর থেকে ১৫ উইকেট পিছনে রয়েছেন। জোফ্রা আর্চার ও মুকেশ চৌধুরী – উভয়েই পাঁচ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম ওভারে বোল্টের এই ব্যাপক সাফল্যর কারণে রাজস্থান রয়্যালস অধিকাংশ ম্যাচেই দাপট দেখাতে সক্ষম হয়েছে।