অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন কেভিন পিটারসেন

kevin pietersen
kevin pietersen. ( Photo Source: Twitter )

অ্যাশেজ সিরিজে এই মুহূর্তে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্ৰথম টেস্ট ম্যাচটিতে ২ উইকেটে জয় পেয়েছিল। লর্ডস টেস্টে এই মুহূর্তে তারা চালকের আসনে রয়েছেন। ইংল্যান্ডের ব্যাজবল কৌশল প্ৰথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের উপর খুব একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া প্ৰথমে ব্যাটিং করে ১০ উইকেটে ৪১৬ রান করেছিল। অন্যদিকে, বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন দলের ইনিংস ৩২৫ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়া বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে স্কোরবোর্ডে রান তুলছে। তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৪৫.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৩০ রান।

ডেভিড ওয়ার্নার এবং মার্নাস ল্যাবুশেন ইতিমধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন। ওয়ার্নার এবং ল্যাবুশেন যথাক্রমে ৭৬ বলে ২৫ রান এবং ৫১ বলে ৩০ রান করেন। এই মুহূর্তে ক্রিজে রয়েছেন উসমান খাওয়াজা এবং স্টিভ স্মিথ। খাওয়াজা এবং স্মিথ এখনও পর্যন্ত যথাক্রমে ১২৩ বলে ৫৮* রান এবং ২৪ বলে ৬* রান করেছেন।

ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন অস্ট্রেলিয়ার পরিকল্পনার ব্যাপারে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন। এছাড়াও ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের বেশি ওভার ব্যাট করতে না পারা নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।

স্কাই স্পোর্টস ক্রিকেটের জনপ্রিয় শো “দ্য অ্যাশেজ পডকাস্টে” কেভিন পিটারসেন বলেন, “তারা ইংল্যান্ডকে নিঃশ্বাস নিতে দেবে না। তারা ঘোষণা করে বলবে না ‘এই যে ইংল্যান্ড, দেখা যাক তুমি কতটা সাহসী।’ তারা কখনই এটা করবে না, বিশেষ করে একজন স্পিনার না থাকা অবস্থায়।”

তিনি আরও বলেন, “আপনি যদি মাত্র ৭০-৭৫ ওভার ব্যাট করেন তবে প্রতিপক্ষ দলে বিশ্বের এমন কোনও ফাস্ট বোলার নেই যে এটিকে খারাপ জিনিস বলে মনে করে। এটি মোট তিনটি স্পেল এবং প্রায় ১৫ ওভার বোলিং করার মতো।”

উসমান খাওয়াজার প্রশংসা করলেন কেভিন পিটারসেন

অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ব্যাটার উসমান খাওয়াজার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কেভিন পিটারসেন। খাওয়াজা আগের ম্যাচটিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন।

কেভিন পিটারসেন বলেন, “উসমান খাওয়াজা যেভাবে তার জায়গায় অটল রয়েছেন তা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগছে। গতকাল স্টিভ স্মিথের মতোই তিনি প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। উসমান খাওয়াজা বার্মিংহামে প্ৰথম বল থেকেই এই মানসিকতা রেখেছিলেন – ‘আমার সিরিজ, আমার ম্যাচ। আমাকে আউট করার চেষ্টা চালিয়ে যান, আমি নিজের ভুলে আউট হব না।”