“আম্পায়ার এবং আমি এখনও বলি যে তিনি আউট ছিলেন” – ওডিআই বিশ্বকাপ ২০১১-এর ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সাঈদ আজমল

Saeed Ajmal
Saeed Ajmal. (Photo Source: Instagram)

ওডিআই বিশ্বকাপ ২০১১-তে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ট্রফি জিতেছিল ভারতীয় দল। সেমিফাইনালে ভারত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। ভারতের ওডিআই বিশ্বকাপ জয়ের ১২ বছর পর এই ম্যাচটি নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার সাঈদ আজমল। তিনি সেইবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের অংশ ছিলেন এবং ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচটিও খেলেছিলেন।

সাঈদ আজমল সেই সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনারদের মধ্যে একজন ছিলেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের ১১ তম ওভারে তিনি সচিন তেন্ডুলকারকে সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। মাঠে উপস্থিত আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর সচিন তেন্ডুলকার তার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন। শেষমেশ দেখা যায় যে বলটি উইকেটে না লেগে সেটির পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল।

নাদির আলির পডকাস্টে সাঈদ আজমল বলেন, “আমি ভারতে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে খেলেছি। আপনার হয়তো সচিন তেন্ডুলকারের উইকেটের বিতর্কিত সিদ্ধান্তটির কথা মনে আছে। আম্পায়ার এবং আমি এখনও বলি যে তিনি আউট ছিলেন। বলটি স্টাম্প মিস করছে এটা যাতে দেখানো যায় তার জন্য তারা শেষ দুটি ফ্রেম কেটে দিয়েছিল। অন্যথায়, বলটি সরাসরি মিডল স্টাম্পে গিয়ে লাগত।”

ওডিআই বিশ্বকাপ ২০১১-এর সেমিফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানকে ২৯ রানে পরাজিত করেছিল ভারত

২০১১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত এবং পাকিস্তান একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচে প্ৰথমে ব্যাটিং করে ভারত স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬০ রান তুলেছিল। সেই ম্যাচে ভারতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকার। তিনি ১১৫ বলে ৮৫ রানের একটি খুব সুন্দর ইনিংস খেলেছিলেন। তিনি সেই ইনিংসে ১১টি চার মেরেছিলেন। সাঈদ আজমলের বলে শাহিদ আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি আউট হয়ে গিয়েছিলেন। ওয়াহাব রিয়াজ দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি ১০ ওভারে মাত্র ৪৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট শিকার করেছিলেন।

পাকিস্তান রান তাড়া করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ৪৯.৫ ওভারে ১০ উইকেটে ২৩১ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন মিসবাহ-উল-হক। তিনি ৭৬ বলে ৫৬ রান করেছিলেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার এবং ১টি ছয়। ভারত এই ম্যাচটিতে ২৯ রানে জয় পেয়েছিল। এরপর ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিল ভারত।