আইপিএল ফাইনালে এই ৫ ম্যাচ উইনারের আজ জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা

Sunil Narine. (Photo Source: IPL/BCCI)

হাড্ডাহাড্ডি বললেই কম বলা হবে, কলকাতা নাইট রাইডার্স আর চেন্নাই সুপার কিংস দুটো দল আজ এক ইঞ্জি জমিও ছাড়বেও না। ২০১২ সালের বদলা কি চেন্নাই সুপার কিংস নিতে পারবে ? এই প্রশ্ন এখন ঘোরাধুরি করছে। আসলে ২০১২ তে আইপিএল ফাইনাল দেখেছিল এই দুই দলের টক্কর। ফের একবার কলকাতা-চেন্নাই শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে। আজ থেকে ৯ বছর আগে ২৭ মে এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে গৌতম গম্ভীরের কেকেআরের কাছে হেরেছিল ধোনির সিএসকে। এবার দেখার ফাইনালে শেষ হাসি কে হাসে।

Advertisement
Advertisement

কিন্তু আজকের ম্যাচে যে পাঁচ উইনার ম্যাচের রং ঘুরিয়ে দেওয়ার দাবি রাখে তাঁরা কারা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-

ভেঙ্কটেশ আইয়ার : বিধ্বংসী ওপেনার পাওয়ার প্লে-তে ঝোড়ো ইনিংস খেলে একাই ম্যাচের রং পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ইতিমধ্যেই প্রথম আইপিএল প্লেয়ার হিসেবে ৯ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে যা রান এসেছে তা নয়া রেকর্ড তৈরি করেছে।

ঋতুরাজ গাইকোয়ার্ড : ম্যাচের মোড় কীভাবে ঘোরাতে হয় সেটা কেউ ঋতুরাজকে দেখে শিখতে পারে। ইনিও চেন্নাই সুপার কিংসের ওপেনিং ব্যাটার। তাঁর ব্যাট কথা বলতে শুরু করলে বিপক্ষের আর কিছু করার থাকে না। তাই চেন্নাই আজ চাইবেই গাইকোয়ার্ডের ব্যাট কথা বলুক।

মহেন্দ্র সিং ধোনি : যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচ নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র যাঁর আছে তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৬ বলে বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে একা হাতে দলকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছেন মাহি। ‘ভিন্টেজ’ ধোনিকে দেখে অনুরাগীরা নিজেদের আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি। ফাইনালে ধোনি যে সম্পূর্ণ অন্য ক্রিকেটার ও ক্যাপ্টেন হয়ে ওঠেন, ইতিহাস তার সাক্ষী আছে।

রবীন্দ্র জাদেজা : একা হাতে বিপক্ষকে যে ধ্বংস করতে পারে তাঁর নাম রবীন্দ্র জাদেজা। ব্যাটে-বলে অনবদ্য যিনি তিনিই রবীন্দ্র জাদেজা।

সুনীল নারিন : নারিন বল হাতে ম্যাজিক দেখাতে শুরু করলে বিপক্ষ শেষ। অন্তত এই উদাহরণ ভুরি ভুরি আছে। আর ব্যাট হাতে কীভাবে বিপক্ষকে জাস্ট মাঠের বাইরে ফেলে দেওয়া যায়, তিনি যেন সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েই মাঠে নামেন।