২৪ ঘন্টার মধ্যেই অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার তামিম ইকবালের

Tamim Iqbal
Tamim Iqbal. (Photo by Kai Schwoerer/Getty Images)

২৪ ঘন্টার মধ্যেই মতবদল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিলেন বাংলাদেশের ওডিআই শিবিরের অধি্নায়ক তামি্ম ইকবাল। শুক্রবার সেই সিদ্ধান্তের কথা নিজেই জানিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার। আর এই খবর যে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের স্বস্তি যোগাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শোনাযাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপেই নাকি শেষপর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্চ বদল করলেন তামিম ইকবাল। ্বসর নেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেন বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটার।

গত বৃহস্পতিবার সকলকে চমকে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের একদিনের ফর্ম্যাটের অধিনায়ক। হঠাত্ই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবলর নেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তিনি। সেটা যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কাছে একটা বিরাট ধাক্কা ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে সামনেই রয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপ। সেখানে যে তামিম ইকবাল বাংলাদেশের অন্যতম  প্রধানম অস্ত্র তা  বলাই বাহুল্য। কিন্তু সেই বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ৩ মাস আগেই অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার তামিম ইকবালের

যদিও কী কারণে সেই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন তা অবশ্য জানা যায়নি। কিন্তু বি্শ্বকাপের আগে তাামিম ইকবালের অবসরের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে যে বিরাট এক চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। শুক্রবারই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বাকি সিরিজের লিটন দাসকে বাংলাদেশের একদিনের ক্রিকেটের দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় থেকেই তামিমকে নিয়ে ফের একটা জল্পনা শুরু হয়েছিল। এদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন তিনি।

সেখানে সস্ত্রীক গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদশের রেক প্রাক্তন ক্রিকেটার মাশরাফি মোর্তাজাও। এরপরই হঠাত্ সিদ্ধান্ত বদল করেছিলেন তামিম ইকবাল। শোনাযাচ্ছে  প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই শেষপর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত বদল করেছেন তামিম ইকবাল। সেখানে অবশ্য কী কথা হয়েছে তা কিছু জানা যায়নি। তবে তামিম ইকবাল যে এবারের বিশ্বকাপ খেলছেন তা কার্যত স্পষ্ট। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও তাঁর নেতৃত্বেই মাটে নামতে চলেছে বাংলাদেশ শিবির।

২০০৭ সালে বাংলাদেশের হয়ে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তামিম ইকবালের। সেই  থেকেই শুরু হয়েছিল যাত্রাটা। ২০২৩ সালের ৬ জুন থামল  দীর্ঘ ১৬ বছরের সেই  সফর। সেখানেই তামিম ইকবালের ব্যাটে এসেছে ৮৩১৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ওডিআই রান রয়েছে তাঁর। একইসঙ্গে রয়েছে ১৪টি সেঞ্চুরীও। এছাড়া তাঁর নেতৃত্বে ৩৭টি ওডিআই ম্যাচের মধ্যে ২১টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।