কেন জস বাটলারের মতো ক্রিকেটার বাংলাদেশ থেকে উঠে আসে না, ব্যাখ্যা দিলেন তামিম ইকবাল

মানসিকতায় পিছিয়ে থাকার কথা মেনে নিলেন

CHRISTCHURCH, NEW ZEALAND – MARCH 23: Captain Tamim Iqbal Khan of Bangladesh (R) and his team mates walk from the ground after their loss in game two of the One Day International series between New Zealand and Bangladesh at Hagley Oval on March 23, 2021 in Christchurch, New Zealand. (Photo by Kai Schwoerer/Getty Images)

চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরী করে জস বাটলার ক্রিকেটমহলের সামনে আরো একবার তাঁর অসীম প্রতিভা তুলে ধরলেন। যেখানে অধিকাংশ ক্রিকেটার ৭০-৮০ রান তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন সেখানে বাটলারের ওই ঝোড়ো ইনিংস নজর কেড়েছে অনেকেরই। সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি ওয়েবসাইটে সেই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তামিন ইকবাল তুলনা করলেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের সঙ্গে বাটলারের মতো ব্যাটারদের ফারাক সম্বন্ধে। 

আমরা মানসিকতায় এখনো পিছিয়ে আছি – তামিম ইকবাল

বাটলার ওই ইনিংসে ছটি ছক্কা হাঁকান। অন্যদিকে বাংলাদেশ সুপার ১২-এ সম্মিলিতভাবে এখনো অবধি মেরেছে ৫টি ছয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট যেন পুরোই আলাদা। উদ্ভাবনী শট খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের কেউ ডাগ-আউটে ফিরে গেলে তাকেই দোষারোপ করা হয় সর্বদিক থেকে। এমন সংস্কৃতির পরিবর্তন হলেই জস বাটলারের মতো কাউকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তৈরি করা সম্ভব বলে মনে করেন তামিম। 

সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”আমার মনে হয়, আমরা সবাই চাই জস বাটলারের মতো কাউকে বের করে আনি। কিন্তু আমরা মানসিকতায় এখনো পিছিয়ে আছি। যেমন স্কুপ করে আউট হওয়া যাবে না। সোজা ব্যাটে এক এক রান করে খেলা শেষ করতে হবে। যদি আফিফকে আমার মতো বানাতে চান তাহলে তো এই ধরনের ক্রিকেটার আসবে না।”

তিনি আরও বলেন, “জস বাটলার যখন আসলো, ও কিন্তু পুরোপুরি অন্য রকমের খেলোয়াড় ছিল। সবরকম শট খেলত। আমার মনে হয় না আমরা এই জিনিসটার জন্য তৈরি আছি, যে এভাবেও ক্রিকেট খেলা যায়। এই জিনিস থেকে বের হতে হবে। আফিফ বা আরও যারা আছে ওদের ওভাবে খেলতে দিন। যদি আপনার পছন্দ না হয় ওর খেলার ধরন তাহলে আপনি ওকে নির্বাচনই করবেন না।”

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেশ কয়েকবার রিভার্সসুইপ খেলে ফিরে গিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এ কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা হচ্ছে তাঁর। কিন্তু এতে মুশফিকের ওপরেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তামিম।

এই প্রসঙ্গে তামিম বলেন, “একটা নির্দিষ্ট ক্রিকেটারকে নিয়ে এখন আলোচনা চলছে যে কেন সে স্কুপ খেলে, রিভার্স সুপ খেলে। এটা নিয়ে সবাই অনেক বলছে এবং সেটা ওই প্লেয়ারের কানেও যাচ্ছে। এখন যদি কোনও ম্যাচে স্কুপ, রিভার্স সুপ বা সুইপ করার সুযোগ আসে, সে কিন্তু সেটা করবে না। মনের মধ্যে ভয় কাজ করবে।”