ডিয়্যান্ড্রা ডটিন এবং একলেস্টোনের দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন সুপারনোভাস

Supernovas vs Velocity
Supernovas vs Velocity. (Photo Source: IPL/BCCI)

ডিয়্যান্ড্রা ডটিন ও অ্যালানা কিংয়ের দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সে ফের নিজের সিংহাসন ফিরে পেল সুপারনোভাস ওমেন। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল ভেলোসিটির। ওমেন্স টি টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জের ফািনালে ভেলোসিটিকে ৪ রানে হারিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় তুললেন হরমনপ্রীত কৌররা। শনিবার পুণেতে টিমগেমের দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে ভেলোসিটিকে শেষ করে দিল সুপারনোভাস ওমেন। শেষপর্যন্ত লরা উলভার্ট একটা চেষ্টা করলেও, জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না।

২০১৮, ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়ন সুপারনোভাস ওমেন। এবারও সবার আগে ওমেন্ট টি টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জের ফাইনালে উঠেছিল সুপারনোভাস। অন্যদিকে শেষবারের চ্যাম্পিয়ন ট্রেলব্লেজার্সকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল ভেলোসিটি। কিন্তু বড়মঞ্চ যে বড় নায়কদেরই খেলা, তা বয়ত েদিন আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন ড্যান্ড্রা ডটিন। ফাইনালের দিন তিনি একাই যেন শেষ করে দিলেন প্রতিপক্ষ শিবিরকে। ব্যাট হাতে যেমন ঝড় তুলেছিলেন ভেলোসিটির বিরুদ্ধে, তেমনই বোলিংয়েও গরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে প্রতিপক্ষ  শিবিরের সমস্ত আশা শেষ করে দিয়েছিলেন।

ভেলোসিটিকে হারিয়ে তৃতীয়বার ওমেন্স টিটোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ চ্যাম্পিয়ন সুপারনোভাস

ব্যাট হাতে ৬২ রান করার পাশাপাশি বোলিংয়েও দুই উইকেট নিয়ে হরমনপ্রীত কৌরদের চ্যাম্পিয়ন করার নায়ক ডিয়্যান্ড্রা ডটিন। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভেলোসিটি অধিনায়ক। এদিনু শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে ছিল সুপারনোভাসের ওপেনিং জুটি। ডিয়্যান্ড্রা ডটিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলা শুরু করছিলেন। ওপেনিং পারর্টনারশিপই হয় ৭১ রানের।

প্রিয়া পুণিয়া ফিয়ে গেলে, এবার ডিয়্যান্ড্রা ডটিনের সঙ্গে  জুটি বাধেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। যদিও সেই পার্টনারশিপ বেশী বড় হয়নি। ডটিন যখন ৬২ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন, সেই সময় সুপারনোভাসের রান ২ উইকেটে ১৩১। ৪৩ রানে হরমনপ্রীত কৌর ফেরার পরই যে খানিকটা রানের গতি থেমে যায় সুপারনোভাসের। পরের ব্যাটাররা আর কেউই বড় রান করতে পারেনি। যদিও টপ অর্ডারের ব্যাটারদের পারফরম্যান্সই এদিন সুপারনোভাসের জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়ে গিয়েছিল।

প্রথমে ব্যাটিং করে এদিন সুপারনোভাসরা করে ১৬৫ রান। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে তখন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন ছিল ভেলোসিটির। আর সেই লক্ষ্যে তাদের প্রধান অস্ত্র ছিলেন শেফাল বর্মা। শুরুতেই তাঁকে ১৫ রানে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেন ডিয়্যান্ড্রা ডটিন।এরপরই ইয়াস্তিকা ও গতম্যাচের ভেলোসিটির হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানো কিরণকে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন একলেস্টোন। বিশ্ব ক্রিকেটে এই মুহূর্তে কেন তিনি সেরা, তা হয়ত এদিন বুঝিয়ে দিলেন তিনি।

এরপর থেকে মাঠে ছিল অ্যালানার দাপট। তকিনি একাই নেন ৩চি উইকেট। কিন্তু বল হাতে গোটা ম্যাচ কিন্তু সুপারনোভাসের দখলে রেখেছিলেন একলেস্টোন। যদিও এগদিন ভেলোসিটিও লড়াইটা শেষপর্যন্ত চালিয়ে গিয়েছিল। ম্যাচ লরা উলফার্টের দুর্ধর্ষ ইনিংসে শেষ ওভার পর্যন্ত একটা জয়ের আশা ছিল ভেলোসিটির। কিন্তু শেষ ওভারে সেই একলেস্টোনের দুর্ধর্ষ স্পেল ভেলোসিটির সমস্ত আশা শেষ করে দেয়। ১৬১ রানেই থামতে হয় ভেলোসিটিকে।